একটু সচেতন ভাবে চিন্তা করলে একটা বিষয়ে আমরা সবাই একমত হবো যে, চলে যাওয়া সময় কখনো ফিরে আসে না। আমাদের পূর্বসূরীরা আমাদের মাঝে ফিরে আসবে না। আমাদের শৈশব আমরা ফিরে পাবো না। তবু সবকিছু চক্রের বা বৃত্তের আকারে ঘুরে ঘুরে আসে এ ধারণা থেকে আমাদের জীবনে, সাহিত্যে, সংস্কৃতিতে কিছু বিষয় আলোচিত হয়েছিল। আধুনিক চিন্তার ক্ষেত্রে এসব অনেক বাধা সৃষ্টি করে। চাকা আবিস্কারের মতো জীবন চক্র, বর্ষ চক্র, ঘটনা চক্র এ জাতীয় শব্দের ব্যবহার কিছু বিষয়ে সাময়িক মীমাংসা দিলেও পরবর্তীতে যৌক্তিক বিচারে তা টিকেনি।প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে এটা পরিস্কার হয়ে গেছে যে, কোন মুহুর্তই তার পূর্ববর্তী বা পরবর্তী মুহুর্তের মতো নয়। ক্ষেত্র বিশেষে মিল খুঁজে পাওয়া গেলেও অনেক ক্ষেত্রে অমিল থেকে যায়। এতে হিসাবেরও অনেক অসুবিধা সৃষ্টি হয়। তাই এ বিষয়ে চিন্তা করার সময় এসেছে। এখন সমস্ত পৃথিবীকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের এককের আওতায় আনা দরকার। শুরু করতে হবে নতুন গণনা যেখানে প্রতিটি মুহুর্তের হিসাব থাকবে সময়ের সবচেয়ে ক্ষুদ্র এককে। নক্ষত্র, গ্রহ বা উপগ্রহের উপর ভিত্তি করে নয়। কোন ঘটনার আবর্তনের ভিত্তিতে নয়। কোন অঞ্চলের আঞ্চলিকতার জন্য নয়। সমগ্র পৃথিবীর সময়ের হিসাব রাখার জন্য এই বিষয়ে সকলের একমত হওয়া প্রয়োজন। বার, সপ্তাহ, মাস, বছর ইত্যাদির প্রয়োজন এখন নেই। গণিতের উন্নয়ন, গণমাধ্যমের উন্নয়ন ও ভূ-উপগ্রহের উন্নয়নের ফলে এখন পৃথিবীর একক সময় পরিচালনা করা সম্ভব। যে সময় এগিয়ে যাবে। আবর্তিত হবে না। এতে জটিলতা অনেক কমবে। সৌরবর্ষ, চান্দ্র মাস, অধিবর্ষ, তিথি সমস্যারও সমাধান হবে। আঞ্চলিক উৎসবের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় ব্যবধান হিসাব করে আগেই সময় নির্ধারণ করা যাবে। আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না।