বৃষ আর 'তি' যোগে বৃষ্টি, 'আ' যোগে হয়ে যায় বর্ষা,
মিথুন আর কর্কট রাশিতে আষাঢ় শ্রাবণে অমাবস্যা।
সারাদিন টিপ টিপ বৃষ্টি, ভাবছি মেঘেরা কি কাঁদছে?
বুঝি এই কান্নার সৃষ্টি, আকাশের বিরহ বোঝাচ্ছে।
বর্ষা ঋতু নয় মন্দ, বাতাসে কদমের সুঘ্রাণ,
মেঘেদের মাঝে লাগে দ্বন্দ্ব, শুষ্ক ধরণীটা পায় প্রাণ।
উচ্ছ্বল জলে ভরে তটিনী, কোথাও বন্যার হাহাকার,
পাল তুলে ভেসে যায় তরণী, থৈ থৈ বারিধির চারিধার।
মেঘেদের গুড়ু গুড়ু গর্জন, থেকে থেকে চমকায় বিজলী,
মায়েদের ঝাঁঝাঁলো সে তর্জন, কেন তুই বৃষ্টিতে ভিজলি?
প্রিয়হীন প্রেয়সীর যামিনী, বালিশে করে রাগ বর্ষন,
বৃষ্টিতে ভেজা কোন কামিনী, শিল্পীকে করে যে আকর্ষন।
ঘ্যাঙঘ্যাঙ ডেকে যায় কোলাব্যাঙ, প্রজনন সময়ের বার্তা,
ছাতা আর বর্ষাতি ব্যবসায়, মেতে উঠে বিনিয়োগ কর্তা।
গৃহহারা ভিজে সারা রাত্রি, গৃহবাসী শুনে নব ছন্দ
পড়ালেখা রেখে শিক্ষার্থী, ভাবে আহা! আজ কী আনন্দ।
অভিমানে জন্মে যে সাদামেঘ, সুখ পেলে আঁখি জলে ঝরে তা-ই,
অপমান ও দুঃখের কালোমেঘ, অঝোরে ঝরে যায় বেদনায়।
গ্রীষ্মের দাবদাহ কমাতে, ঋতুরাণী আসে হেথা আষাঢ়ে,
দুইমাস বাংলায় কাটাতেই, বিদায়ের বাণী বলে চাষারে।
"বর্ষার আয়োজন"