বঙ্গভূমের ভূতের কথা বলব কত আর
ভূতের মাহাত্ম্য কথা বড় চমৎকার
ধনকুবের জগৎশেঠ খুন হল রাতে
প্রেত হয়ে খুনীদের মারলো উৎপাতে
প্রেমে ব্যর্থ নন্দিনী আত্মহত্যা করে
পেত্নী হয়ে বসেছিল রাসবিহারীর ঘাড়ে
শ্রীমতি কল্পনা মরে আগুনের আঁচে
শাকচুন্নী হয়ে ছিল পাশের আম গাছে
চুরি করে ধরা পড়ে মরে কান্তি রায়
চোরাচুন্নি হয়ে চুরি করে পূর্ণিমায়
পেঁচাপেঁচি ভূত হয়ে গভীর জঙ্গলে
একাকী ভ্রমনকারী পেলে মেরে ফেলে
মাছখেকো মেছোভূত বাঁশঝাড়ে থেকে
চুরি করে মাছ খায় জেলেদের থেকে
দেও ভূত নদী তীরে করে বসবাস
পানিতে ডুবিয়ে করে বহু প্রাণনাশ
নিশি ভূত নিশি রাতে ডাকে দুইবার
বের হয়ে গেলে কেউ ফিরেনাতো আর
করিম ডুবে মরে হলো মামদো ভূত
গেছো ভূত গাছে থাকে বড় অদ্ভূত
অমাবস্যায় মরে ঠাকুর হলো ব্রহ্মদৈত্য
বাঘে খেলে বেঘোভূত করে আনুগত্য
স্কন্ধকাটা,কানাভুলো,ডাইনীদের কথা
আজও শুনি বঙ্গভূমে বলছে যথাতথা
ভূতের পাঁচালী একবার যে জন পড়ে
সব ভয় দূর হয় ভূত পতির বরে
এত দূরে পাঁচালী যে সমাপ্ত হলো
ভূত প্রীতে সবে মিলে জয়ধ্বনি তোলো।