সনধে্ হলেই লেকের  ক্লাবের ঘেরা পুকুর, তাকে
অমোঘ কোন আকর্ষণে ভেতর থেকে ডাকে ।
তর সয় না পোষাক পালটে সুইমিং কষ্টউম ।
এক দৌড়ে পৌঁছে যাওয়া চেঞ্জিং রুম ।


এরপর তো ঝাঁপিয়ে পড়া।
দু তিন বার
এপার ওপার।


মাঝখানে আড়চোখ ঘেরাটোপের প্রতি ।  
সাঁতার শেখায় মনোযোগী সংগ্রামে সব ব্রতী ।
সাঁতারেচ্ছু ওরাও দেখে প্রচণ্ড উৎসুক,।
ঘেরাটোপের বাইরে আসতে অধীর উন্মুখ ।


বিপন্ন পায়ের আন্দোলন, হার মানে না অন্তবর্তী জল  ।
শরীর নামে ক্রমশঃ গভীর,অতল । সে
ঈর্ষণীয় এদের কাছে  জয়েতে মশগুল ।
সন্ধেবেলা এরাই তার আকর্ষণের মূল ।


সাঁতার  শেষে পাড়ের ওপর কিষ্ণিত অবহেলা ।
সপ্রতিভ কারো কারো সপ্রশ্ন, এগিয়ে আসার পালা ।
কি করে ভাসো তুমি, এতো অনায়াসে  
এতো সোজা ! কেউ নেই কোথাও, কোনো পাশে ?


এরম সময় খুব স্বাভাবিক,জামার বোতাম দেরী করে আঁটি।
জয়ের খবর চোখের কোনে বসায় শীতলপাটি !
বিষণ্ণতার আগল ভাঙ্গে, বেরিয়ে আসে স্বরূপ ।
বিজয়কেতন কোথায়, কোথায় জ্বলে ? অহঙ্কারের শীর্ণ ধূপ ।


মনের সিংহ অহঙ্কারী; আন্তরিক মাথা দোলাই ।
সা্ঁতারের অন্ধিসন্ধি ঠিকঠাক তাদের বোঝাই ।
কেমন ভাবে ভাসতে হয়, কোথায় দেবে ডুব ।
হাতপায়ের চলন বলন, দরকারী খুব ।।


সন্ধ্যেবেলা আজকাল এইভাবেই কাটে ।
বুঝি না ঐ বাচ্চাগুলো ওদের মতো---


নিত্যদিন চাটে ।