মনে পড়ে
আঠার বছরে আমি খুব জোরে ছুটতাম ।
আমার পেছনে উদ্যত কাল রঙ পিস্তল।
তার ট্রিগারে মোটা,কর্কশ নিষ্ঠুর হাত।
তারও পেছনে
রক্ত লোভী নিষ্ঠুর
এক পুলিশ অফিসার !


আমি সেদিনও খুব জোরে ছুটেছিলাম ।
আমার পথ আটকে নির্লিপ্ত দাঁড়িয়ে ছিল
হাতে খোলা রিভলবার কিছু চেনা অচেনা মুখ ।
সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিত পথ ।।


আমি সেদিনও খুব জোরে ....
হষ্টেলের সামনে যেদিন
সারি সারি কালো ঘেরাটোপে
কালো কালো  গাড়ী ।।


.. সেদিনও খুব জোরে ছুটেছিলাম ।
আমার সামনে ছুটে পালাচ্ছিল
ক্রমশঃ দূর আরো দূরে
প্রাণভয়ে ভীত
আমারই  পরিচিত এক মুখ ।


পরিত্রাহী ঐ ছোটবার দিনগুলো
এখনও খুব স্পষ্ট মনে পড়ে ।
ভোরে ঘুম ভাঙ্গার পর থেকে
রাত্রে শুতে যাওয়া অবধি
সেই অনির্দিষ্ট অবিন্যস্ত দৌড় ।


মধ্যবয়সে আর এক নতুন ছুট দেখি।
আড়ালে আবডালে, কখনও বা অলজ্জ্ব সমূখে
এ ছোটায় সমষ্টিগত ঘৃণা বা প্রতিহিংসা নেই ।।
ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির এই  দৌড়ে
কখনও ভয়ে,কখনও আতঙ্কে
আমিও সামিল হই ।
হোঁচট খাই ।
টলমল পায়ে উঠে
আবার দৌড়াই।


ছোটা খুব ভাল অভ্যেস ।।
এখন ডাক্তারেরা আমায়
আস্তে আস্তে ঘরের মধ্যে ছুটতে বলেন।
তাই এখনও নিয়ম করে ছুটি ।
সবই বেঁচে থাকার জন্য।
আরো কিছুদিন বেঁচে  থাকার জন্যে ।।