এটা ২০৫০ সাল।
চিন্তা নেই, অবনীরা বাড়ি থাকে আজকাল।
সামনে ছড়ান কাগজ, পাকাচুলে বনলতা সেন;
একমনে আলাদা করিতেছেন,
কাঁকড় হইতে চাল।
পশ্চিম দিকে উঠায়ে বন্দুক
বাবরেরা বসিয়াছে।
উহাতেই তাহাদের অসুখের সুখ।
জলে পড়ে খাবি খায় নীরা;
নীল লোহিত কিন্তু ব্যস্ত,
বাঁচাতে বসুন্ধরা।
এটা ২০৫০ সাল।
পাল্টে গিয়েছে অনেক হালচাল।
ঋজু ফেলু হিমু একসাথে বাঙ্গালীর বেশ,
প্রভাবিত করিয়াছে, ওবভিয়াসলি,
ঝষি ব্যোমকেশ।
কিরীটি জয়ন্ত মানিক ইন্দ্রনাথ,
একসাথে ছুটিতেছে,মিলাইয়া হাত।
রোমি ও হাত ধরে হাঁটে পোর্শিয়ার;
নয়দার পথে।
কি কথা তাহার সাথে; তার সাথে ?
ফিদেল ও চে,
সত্যজিত চ্যাপলিন সাত্র কামু কাফকাকে নিয়ে।
উত্তম বাবুর সাথে,গিরীশ মুখার্জী রোডে,
ডাঙগুলি খেলছে।
মালতীবালা স্কুল কবেই উঠে গেছে।
বরানগরের ইংলিশ ম্যাম,
ওখানে স্পোকেন ইংলিশ শেখাচ্ছে।
পুরোনোরা ফিরে আসে,নতুনভাবে;
এটা দু হাজার পঞ্চাশ।
মানুষ ও ছাগল একসাথে,
খায় গ্যাস, সরি, ঘাস।
(তুমি আমার কাছে চিরকাল
রহস্যময় প্রহেলিকা রয়ে গেলে।
হ্র্রদয়েশ্বর
রবিকবি তুমি বিশ্বচরাচর
অবাঙমনসাগোচর ।।)