হায়রে জীবন !
ভ্রমণ-ই তোর কার্য ,আর ভোজন প্রযোজ্য ।
এছাড়া আর কী ! কিছুই না ।
একখানা ঘড়ি বাম দিকে ঝুলিয়ে ,
চব্বিশটা ঘন্টা নিজেকে উপস্থাপন-
এটাই তো !
এর্লাম বাজতে না বাজতে ,
বিশ্রামযুক্ত স্বপ্নের সমাপ্তি ।
এরপর-এরপর ?
চলমান সভ্যতার সাথে-
তাল দিয়ে , নিজেকে একটু ;
পর্যায়িতকরণ , প্রমিতকরণ ।
বস্তা ভর্তি পরিস্থিতির সকল প্রমাণপত্র
আপাদমস্তক চেপে ছুটে চলা পণ্যের আদলে ।
বিক্রি হোক বা না হোক
ছুটে চলাটাই বোধগম্য ।
বিরতি মিনিট বিশ কিংবা ত্রিশ
ভোজনের অজুহাত ধরে , বিক্রয়ের -
নতুন পদক্ষেপ ভাবনা ছাড়া আর কী !
গ্রেণেডের খোলসে যদি
বেড়ে উঠতে পারে কোমল ফুল ,
তাহলে বারুদে ভরপুর বিবেকে -
কেন উৎপত্তি হবে না নব্য বিক্রিতের কৌশল !
হ্যাঁ হয় । হরেক রকম ।
একটা না একটাকে কাজে লাগাতে হবে
ভেবে , ফের যান্ত্রিকতার মতোই সময়ের বুকে পা ফেলে চলা ।
এ-বাড়ি , ঐ-বাড়ি ঘুরে
উনুনে তপ্ত বালুতে ধান হতে ,
খৈ ফোটার মতো পকপক করা -
তাও আবার অনিচ্ছাকৃত হাসিমুখে ।
একে কী ভাঁড় ছাড়া আর কিছু বলা যায় !
তা ঠিক জানা নেই ।
এভাবেই সকাল-সন্ধ্যা যাচ্ছে কেটে
ব্যস্ততার কাঁধে হাত রেখে ,
নিজস্ব বিশ্বাস-অবিশ্বাস গুলোকে বিক্রি করে ।
তারপর ,
নাটকীয়তা ছাড়া আর কোন ক্লু থাকে না ।
তাকেও কার্য সম্পাদনের মৌলিক ভেবে ,
চালিয়ে দিই কয়েকটা মিথ্যা বিজ্ঞাপনের মিশ্রনে ।
অবশেষে রাত্রি বাড়ে ।
রাতের খাবার হিসেবে ,
আগামীদিনের আরো কয়েকটা -
বিক্রয়ের কৌশল গিলে ,
মাথা রাখি ভবিষ্যতের পোকাপাকড় ভর্তি বালিশে ।
আর ভাবতে ভালো নাগে না ।
সব ভাবনাতে ব্যস্ত নগরীর
সেই চির চেনা ভীড় ।
এর মধ্যে-ই কখন ক্লান্তি এসে ,
চুরুট ধরিয়ে বসে পরে দু'চোখের কোণে ।
এরপর-এরপর ,গতানুগতিক ।।