ভাবতেও কষ্ট হয়
তোমাকে পেয়ে বসেছে কি অহং বোধ?
সুবোধ বালকের মতো হলে কৈ?
জনগণের সাথী হয়ে চললে কি?
ভুলে গেছো কঠিন শিলায় ধাক্কা খেলে
নদীকেও দিক-বদল করে চলতে হয়?
একমুখো চলতে গিয়ে ঘটালে না কি বিপত্তি?
হাবুডুবু খাচ্ছ না কি অথৈ জলে?
জানি না ভালে আছে আরও কত কী!
ভেবে পাই না হয়েছ কি দিশেহারা?
তোমাকে নিয়ে ভাবি যে সময়
মাথা চিন চিন করে যন্ত্রণায়!
অসহায় বৃদ্ধের মতোই একাকী
যষ্টি-নির্ভর হয়ে চলছ দেখে কষ্ট হয়।
বোধ হয় তোমার লক্ষ্য ছিল জোরালো
সকলের অন্তরে পৌঁছে সৌরভ বিলবে
তবেই জীবনে সাফল্য জুটবে।
ভাবছো কি সে আশা পূর্ণ হলো কতদূর?
মনে হয় সে আজও বহুদূর
চারদিকে ছড়িয়ে আছে নাকি ব্যর্থতা?
মরু তীর্থ হিংলাজের মতো তোমার উদ্দেশ্যে
বেড়িয়ে যারা দুর্গম পথ পেরিয়ে
পৌঁছে যেতে চায় উদ্দিষ্ট লক্ষ্যে
দেখো ক’জন গন্তব্যে পৌঁছতে পারে?
দেখো আজও অধিকাংশ যাত্রী দুর্গম পথে
চেষ্টা করেও পৌঁছতে পারে না সে লক্ষ্যে
আশাহত হয়ে মাঝপথ থেকে ফিরে আসে।
বলবে কি তাদের উদ্দেশ্যে
এ দুর্গম পথে আর কত পথ গেলে
তোমার মন্দিরে পৌঁছে যাবে?
এ অবস্থায় ভাবতেও কি পারো না
ভিন্ন কিছু 'আমি ও আমিত্ব বোধ' ছাড়া?
ভুলে গেছো কবি-ই তো বলেছিল
পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না
বর্ণে সুশোভিত, সুগন্ধে ভরপুর
সে বিলায়ে তার সেই অমূল্য ধন
স্থান করে নেয় সব মানুষের হৃদয়ে,
হয়তো সে কারণেই সার্থক জনম তার।
নেই কিছু তার হারাবার!
‘কবিতা’ ভাবো করবে কী?
তুমি ছাড়বে কি তোমার ‘দুর্বোধ্যতা’?