ও দক্ষিণ রায়বাঘিনী, জনগণ ব্যস্ত যখন
কাজের খোঁজে, সেসময় তোর মন উতলা
হলো কি ও পাড়ে নদীতীরে বসে সেই দৃশ্য
দেখে?
পেটে লেগেছে কি তোর খিদের জ্বালা? লোভ
লালসাও কি ঠিক তখনি তোর মনের মাঝে
শিঙির মতো ঘাই মেরেছে?
তাই বলে কি সাঁতরে রায়মঙ্গল পেরিয়ে এসে
দেখলি চেয়ে সবাই করছে কী আর কতটা
দুমড়ে মুচড়ে গেছে?
সাঁজবেলা, তারা বেজার মুখে পেটের জ্বালায়
যখন জল গিলেছে পেট ভরাতে, ঠিক তখনি
তুই তাদের ঘাড়ে পিঠে থাবা বসিয়ে খেলি
রক্ত শুষে!
ওরে রায়বাঘিনী, জেনে রাখ প্রহরীরা নেই
বসে। তারা দূরবীনে চোখ রেখে দূর থেকে
দেখেছে কত মানুষ মেরে তাদের রক্তমাংস
খেয়েছিস নদীতীরে বসে। তাদের হাড়কঙ্কাল
চারিদিকে কি কম ছড়িয়ে আছে?
দেখে যা রায়বাঘিনী, এই দৃশ্য দেখে তারা
তোকে তারজালে ঘিরে ফেলে ঘুমপাড়ানি
গুলি ছুঁড়তেও তোর দিকে তাক করছে।
সেই কাজটিও করবে তারা বোধ হয় আর
একটু সময় পেলে।
ও দক্ষিণ রায়বাঘিনী, তুই কি খুবই ভয়
পেয়েছিস?
পা-গুলো থর থর করে কাঁপছে ভয়ে? তাই
বলে কি বনে পালানোর পথ খুঁজে না-পেয়ে
ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে আছিস।