বহু সাধনায় পাওয়া এ মানবজীবন
ভুলতে পেরেছে সচেতন কে কখন?
আজন্ম দেশমাতৃকা বিলচ্ছে যে সুধা
তবুও পাষণ্ডদের মিটছে নাকি ক্ষুধা?
জাগরণে ক’জন মায়ের সন্তান ভাবে
‘জন্মেছি যেই দেশে সে এক মন্দির
জনমের পর থেকে আমৃত্যু এই ভবে
জননীর সুধা পানে নিয়ত থাকি অধীর।
তার ঋণ পরিশোধ করার সাধ্য কি!
জীবনে যেন লোপ না-পায় মাতৃভক্তি
দেশমাতার পূজা দিতে হবে ভক্তিভরে
আনতে হবে না অর্ঘাদি সংগ্রহ করে।
অভাব কিছুই নেই এই দেবীমন্দিরে
পূজারী গঙ্গা জলেই গঙ্গাপুজা সারে।
প্রেম-ভালোবাসা সেবা একমাত্র মন্ত্র
দেবী পূজায় নেই অন্য কিছু স্বতন্ত্র।
পেয়েছি ‘গণতন্ত্র’ ও ধুনুচি সাজানো
মাতৃ পূজায় সময় জ্বালাতে ধূপ ধুনো।
এই মন্দিরে গন্ধ বিলতে মন মাতানো
এই ধুনুচিটির তুলনাও নেই কোনো।
পূজারী আর কেহ নয় দেশের জনগণ
পূজায় রত থাকবে নিয়ে শুচি-শুভ্র মন
তারাই ধুনুচিতে যোগাবে সদা ইন্ধন
সুগন্ধি ধূপ ও যখন যেটুকু প্রয়োজন।
এ মন্দিরের পবিত্রতাও বজায় রাখবে
মায়ের পূজার অর্ঘও তারাই সাজাবে।
হায়রে, দানবেরা সেটি বুঝলো কবে?
বুঝলে মাকে অশ্রু ঝরাতে হতো তবে?
দানবেরা মাতৃ-মন্দির করেছে অপবিত্র
এই মন্দিরে দেখি যে ওদের দৌরাত্ম্য।
ভাবি, ওদের বোধোদয় আর হবে কি?
অচিরে বদলাবে কি ওদের মতিগতি?