বললো বৃদ্ধা এই পাড়ার পড়শিরা আড়চোখে
দেখেছে দুষ্ট ছেলেদের কে দিয়ে দিনেরাতে
জনগণের সর্বস্ব চুরি করিয়ে আনন্দ উল্লাসে
নেমেছি নিজের বিলাসবহুল সাম্রাজ্য গড়তে।
পড়েছি একী বিপাকে, পড়শিদের মুখ বন্ধ
করানো যায় কি সহজে? কানাঘুষো চলছে
দেখে কোমর বেধে নেমেছি কিছু অর্থকড়ি
বিলিয়ে এই পাড়া-পড়শিদের তুষ্ট রাখতে।
যদিও এ বুদ্ধিটা লেগেছে কাজে, ভারী দুষ্ট
অবাধ্য ছেলেগুলোকে রাখতে পারিনি বশে।
শান্ত থাকিস বললেও শোনেনি মায়ের কথা,
হায়রে, এখন করি কী খুঁজে পাই না দিশে!
শুনেছি তারা রাতবিরতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে
প্রশ্রয় দিলে লাগাম ধরে রাখা যায় সহজে?
হলো তাই, নালিশ আসছে চারিদিক থেকে
বলে বহু বাড়ির সীমানার বেড়া ভেঙ্গেছে।
পড়শিরা আসছে দেখে বেশ চিন্তায় পড়েছি
তাদের মুখ বন্ধ করতে অজস্র অর্থ দিয়েছি
তবুও হলো কী, ও হরি! তাদের মন ভরেনি
তাই ক্ষতির টাকাকড়ি দ্বিগুণ করে দিয়েছি।
এখন বলছে তারা, ‘চাই না এই টাকাকড়ি’।
তারা নাকি এদেরকে করবে এই পাড়া ছাড়া
বোঝে না তারা এই ছেলেগুলো আমার সম্বল
তারা পাশে না দাঁড়ালে আমি যাবোই মারা?