বলতে দ্বিধা কী বিশেষজ্ঞ না-হলে ক’জন
জটিল রোগের নিদান দিতে পারে?
শুনেছি তুমি সমাজের দক্ষ চিকিৎসক। বহু
ভেবেচিন্তে খুঁজে বের করলে এ সমাজের
জটিল ব্যাধির কারণ।
জানালে ধুনুচি নাচ হলো সেকেলে! যুগের
সাথে তাল মিলিয়ে চলতে অপারগ।
বোঝালে এ রোগ সারাতে হলে নতুনত্বের
ব্যবস্থা করতে হবে। নয়তো নবীন প্রজন্ম
আনন্দে মেতে থাকবে কী নিয়ে?
নিদান দিলে সেজন্য তাদের নামতে হবে
নিয়ম ভাঙার খেলায়।
সেসময় চারদিক ঢেকেছিল ঘন কুয়াশায়।
তবু তোমার পরামর্শ মেনে জনগণ খেলা
দেখতে মাঠে এসে ভিড় জমালো।
বলা ভালো, ভয় ডর ছেড়ে জনসমক্ষে
দেখালে কিভাবে এ খেলা খেলতে হয়।
যারা এ খেলা দেখেনি আগে, কম্বল মুড়ি
দিয়ে নাক ডেকে ঘুমিয়েছিল দেখা গেল
তাদের অনেকে খেলা দেখতে এসে ভিড়
করলো।
তারপর কী ঘটলো সে আর বলতে! দেখা
গেল আগুন নিয়ে খেললে। পারদর্শী বটে।
তোমার দক্ষতার তারিফ না-করে পারি না।
খেলা দেখলো যারা ভুলতে পারে তাদের
ক’জনা?
সংশয়ে ছিলাম অঘটন ঘটবে কিনা? জানা
গেলো অনেকের গায়ে পড়লো আগুনের
ফুলকি।
শোনা গেল বাকিদের প্রাণে লাগলো নাকি
আগুনের পরশমণির ছোঁয়া।
চারদিকে ছড়ালো কালো ধোঁয়া। আবহাওয়া
বদলে এমনি দাঁড়ালো বলবো কী আগুনের
ছ্যাঁকা খেলো যারা, তারা এখন নাকি বেশ
চাঙ্গা। রাঙা আলুর মতোই একেবারে লাল
হয়ে আছে।
যাদের ছ্যাঁকা লাগতে এখনো বাকি, দেখছি
তারা ঘরের জানালা দিয়ে দেখছে কচ্ছপের
মতো গলা বাড়িয়ে চারদিকে ঘটছে কী!
বলতে দ্বিধা কী তারা ও চাঙ্গা হবে আগুনের
ফুলকি গায়ে লেগে, দেহের কিছুটা পুড়ে ঘা
হলে।