খাঁ-খাঁ করছে কাঠ ফাটা রোদ্দুরে, ঘরের বাইরে,
ঘরে নেই বিদ্যুৎ, জলকষ্টও চরমে?
ঘটছে এমনি আরও কত কী?
মরমে হলো ঘা?-রৌদ্রের খরতাপে জ্বলে-পুড়ে?
হায়রে, সইতে হচ্ছে অসহ্য যাতনা!
প্রভুর নিকট কৃপা প্রার্থনা করেও স্বস্তি মিলছে না?
প্রকৃতির উপর রেগে গজ গজ করেও করবে কী?
ভাবো, প্রকৃতির ঋণ পরিশোধ করতে হবে নাকি?
মনে পড়ে, খড়গ হস্তে এযাবৎ
প্রকৃতি নিধনযজ্ঞে মেতে উঠলে নাকি?
চোখ খুলে চারদিকে চেয়ে দেখো, আজও করছো কী?
আজও চালিয়ে যাচ্ছ ধ্বংসযজ্ঞ
নয়তো এ কাজে দিচ্ছ ঘৃতাহুতি।
কোথায় না হানছো আঘাত জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে?
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতিসাধনের দোহাই দিয়ে
প্রকৃতির বক্ষ বিদীর্ণ করলে?
বলবে, জনসংখ্যা বাড়লে এ ছাড়া উপায় কী?
সভ্যতার বিকাশ ঘটাতে ও জনগণের চাহিদা
মেটাতে জনহিতে এ ছাড়া গত্যন্তর কী?
বলবে, কেন ধ্বংসযজ্ঞ করলে রাশিয়া ও ইউক্রেনে
এবং পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে?
অতি পরাক্রমশালী দেখাতে চাও কার বরদানে?
এখনো বলবে, এ যুদ্ধগুলি ছাড়া গত্যন্তর ছিল না?
বেশ খেলছ বিশ্ব জুড়ে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা,
ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করে বলতে হয়, ‘এ খেলা মন্দ না’।
ভাবো, প্রকৃতির প্রতি বন্ধু বাৎসল্য দেখালে কি?
প্রকৃতির করলে যে ক্ষয় ক্ষতি সেসব মিটবে কি?
পরিণতি? যাই বলো, এখন আর গত্যন্তর নাই।
প্রকৃতির রোষানলের সামনে দাঁড়িয়ে
জ্বলে-পুড়ে এ বিশ্বসংসার থেকে বিদায় নিতে হবে।