জিজ্ঞেস কোরোনা কোনও ব্যক্তিকে, ‘কেমন আছেন?’
যদিও সাক্ষাতে খোঁজখবর নেওয়া রয়েছে স্বভাবে।
এ কাজ থেকে বিরত থেকেছেন আপন কে, কবে?
সুধী-জনের সাথে সাক্ষাতে মৌনব্রত পালন করেছেন?
যদিও সুখ স্বস্তি সবার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার
তবে জীব মাত্রেই ক্ষুধা তৃষ্ণা আছে সবার।
‘কেমন আছেন?-একথা জিজ্ঞেস করলে
ক’জন ক্ষুধাতৃষ্ণা থেকে নির্লিপ্ত থেকে মিথ্যা কথা বলে?
এই প্রশ্নে জ্বলবে অনেকের বুকের ক্ষত
বাড়লে প্রদাহ, বলবে ‘ভালো নেই’, এই বাস্তব সত্য।
যে ক’জন বলবে, ‘ভালো আছি’, তারা নেহাত নগণ্য
ভেবোনা বাকিদের হয়নি বোধগম্য।
এটাই সত্য, তারা ভুলেছে স্বস্তিতে থাকার ধ্যান জ্ঞান
স্বপ্ন দেখতেও ভুলেছে, দুষ্কৃতিরা মগজে বিঁধেছে বান
তবু হয়তো একগাল হেসে বলবে ‘ভালো আছি’ এ কথা
কিন্তু একথা বলতে গিয়ে দুমরে মুচড়ে যাবে অন্তরটা।
তারা জানে, লালসায় মত্তরা বিশ্বকে গোগ্রাসে গিলছে
তন্নতন্ন করে খুঁজছে, ‘গেলার মতো আর কী আছে?’
তাদের ক’জন সাহায্যের হাত বাড়ায় কোন কালে।
এই আবহে ক’জন সত্যি কথা বলে?
দুঃখকষ্টে জর্জরিতরা সকলে তন্নতন্ন করে খুঁজেছে
শান্তি না থাকুক যদি জোটে একটু স্বস্তি
সমগ্র বিশ্বে যেভাবে বাড়ছে অনাসৃষ্টি
সেই ভাবনাও এখন মিছে।
স্বস্তি?-সেটুকুও কোথাও নেই এমনকি জলে জঙ্গলে
বাতাসে বিষ-বাষ্প, সভ্য সমাজ দুষ্কৃতিদের দখলে
জলেও ভয়, জলও বিষ মিশ্রিত
এই আবহে কত জলজ প্রাণী নিয়ত মরে হচ্ছে নিঃশেষিত।
ওদের বংশ হচ্ছে বিলুপ্ত
বলবো আর কত?
বুকে চিনচিন করে ‘ভয়’
কী জানি কখন মিনামাটা রোগে আক্রান্ত হতে হয়!
এখানে শেষ নয়,
সমুদ্রে জলদস্যুদের উপেক্ষা করাও সহজ নয়
এসময় সাত সমুদ্রও ওদের দ্বারা লাঞ্ছিত,
দুঃসময় ঘনিয়ে এলে এমন কত কী হয়।
এখন সমুদ্রেও চলছে বিশ্বের মোড়লদের শাসন
তারা সমুদ্রের তলদেশে কত মারণাস্ত্র পুঁতে রেখেছে
তার কতটুকু খবর ক’জন রেখেছে
দেখবো কত আর দুর্যোধন, দুঃশাসন।
বাতাসে ভাসে বহু দুর্যোগের খবর
বিশ্বকে হা-করে গিলতে ছুটে আসতে পারে হাঙর
সদর রাস্তাতেও চলছে দুষ্কৃতিদের দাপাদাপি
মানব সভ্যতার কুঁড়েঘর ঝড়ে করছে মরমর।