সাধ্যসাধনায় অনেক অসাধ্যসাধন হয়
বটে, নজিরের অভাবও নেই মোটে।
তাই বলে, ও পাখি, তোর মনে এখন
কোকিলা হওয়ার সাধ জাগলেও হলো
কী? তেমন সাধনা করলি নাকি?
ওরে, রাতে বিছানায় শুয়ে এই কথা কি
ভাবিসনি মোটে, ' কোকিল কি ছোবল
মেরে কারো খাবার কেড়ে খায়? এই
কথাটি আসেনি ভাবনায়?'
স্বভাব-দুষ্ট, আজও মেতে আছিস বেশ
উড়ে গিয়ে ছোঁ-মেরে কারো রুটি কেড়ে
খাওয়ার নেশায়।
এই কাজে তোর জুড়ি মেলা ভার। বলি,
চেষ্টা কতটা করেছিস, কে জানে, তবে
আজও তোর স্বভাবের যে হয়নি বদল,
সেকথা অনেকেই জানে। মুখ লুকোবি
কোনখানে?
ভেবে দেখ, কত জনকে নিঃস্ব করেছিস
ধন প্রাণে। আরও কত কী করার কথাও
ভেবেছিস, কে জানে!
ওরে পাখি, কাক হয়ে গলা ছেড়ে গান
গাইলে হবে কি? বেশ বেসুরে লাগছে
নাকি?
পাখি, তোর মনে এখন কোকিলকণ্ঠী
হওয়ারও সাধ জাগলো নাকি?  তেমন
সাধনা করলি কি?
ও পাখি, তোর সব চেষ্টাই বৃথা গেছে।
চিলেকোঠার উপরে বসে গলা ছেড়ে
গান গাইলেও হলো কী, তোর কা-কা
ডাক শুনে কানে লেগেছে এখন বেশ
ঝালাপালা।
বলতে ইচ্ছা করে, ‘পাখি শোন, এখন
আর কা-কা ডাকিস না, বরং এই বেলা
এই স্থান ছেড়ে পালা।