বলছি ঘুড়ি উৎসবের অভিজ্ঞতার কথা।
সেতো অনেকেরই আছে কমবেশি।
এই তো সেদিন দেখেছি এক জমজমাট
ঘুড়ি উৎসব হলো বিস্তীর্ণ প্রান্তরে।
দূরদূরান্ত থেকেও এ খেলায় অংশগ্রহণ
করতে এলো অনেকে। খেলা দেখতেও
এলো অগণিত লোকজন।
আয়োজন এতোই ব্যাপক সেটি দেখে
অনেকে হতবাক। জাঁকজমক মোটেই
কম ছিল না। দেখতে যারা এলো তাদের
উদ্যমেও যেন কোনো ঘাটতি ছিল না।
মেলায় বসলো হাট, বেশ জমজমাট।
পণ্য বিকিকিনি? সেও চললো বেশ।
সন্দেশের অভাবও ছিল না।
দেখেছি একটি ছেলে অধীর আগ্রহে
দেখছিল ঘুড়ি খেলা। জীবন যৌবন,
ভরা বসন্তে এমন কত খেলা দেখা
যায় বেলা-অবেলায়।
বলবো কী আর বিগত দিনে খেলতে
এসে ক’টা ঘুড়ি সফল হয়ে ফিরেছে?
সুতোর প্যাঁচে আটকে কাটা পড়লো
কত ঘুড়ি কেউ কি আর সে হিসাব
রেখেছে?
আবহমান কাল সেটাই চলে আসছে।
দেখেছি ছেলেটাকে কাটা ঘুড়ি ধরতে
কোমর বাঁধলো কষে।
আকাশে তখন বনবন করে উড়ছে
অজস্র ঘুড়ি। সুতোর মারপ্যাঁচ, সেও
চললো বেশ।
দেখেছি ঘুড়িগুলো সুতোর প্যাঁচে পড়ে
যখন দিশেহারা সে সময় কেউ কেউ
উৎসবের মজা লুটছে খোশ মেজাজে।
বুঝলো দিশেহারা ঘুড়িগুলো সে সময়
এ কাজ তাদেরি সাজে।
দেখেছি মজলিশে মজলো যারা, তারা
কখন কোন ঘুড়ি কাটা পড়তে পারে
সে নিয়েও তারা ক্রমাগত করেছিলো
জল্পনা ও পর্যালোচনা।
তাদের ভাবনার দড়ি টানাটানি চললো
যখন সেসময় দেখলো ছেলেটা আকাশে
ইতস্তত ভাবে উড়ছিল একটা রেইনবো
ডায়মন্ড ঘুড়ি।
তারি ঔজ্জ্বল্য দেখে সে মজলো আবেশে।
ভাবলো সে ঘুড়ি তার দরকার। ভাবলো
সেটি কাটা পড়লেই পড়ি মরি ছুটবে সে
সেটি ধরতে।
তার উচ্চাশার পারদ যখন চড়তে শুরু
করলো সেসময় হাওয়া বইতে শুরু হলো।
পরিস্থিতি এমনি দাঁড়ালো যারা খেলতে
এলো তারা বুঝলো ঘুড়ি সামলে রাখাও
দুষ্কর।
ভাবছো কি ডায়মন্ড ঘুড়িটার পরিস্থিতি?
দেখেছি সেটি হলো বেগতিক, কাটা পরার
উপক্রম। গোত্তা খাচ্ছিল এদিক-সেদিকে।
এ অবস্থা দেখে সে প্রস্তুত হয়ে দাঁড়ালো
হাওয়ার অভিমুখে।
হায় রে, এ কী দশা। কারো জীবনে ঘটে
যখন সর্বনাশ সে সময় কারো মনে বয়ে
যায় বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস।
দেখেছি ঘুড়ির অবস্থা। অচিরে সেটি কাটা
পড়লো আর তারপর? ছেলেটির কি আর
তর সয়?
দেখেছি সে মওকা বুঝে দুরন্ত বেগে ছুটে
গিয়ে ধরলো ঘুড়ির সুতো আর হাসিমুখে
সেটি নিজের দখলে নিলো।