বললো কাকাতুয়া, ‘এই তো সেদিন বগা-র
সাথে তার হলো দেখা। দেখেছে পাখি, তার
মাথার মস্ত-বড়ো টিকি দোল খাচ্ছে ক্রমাগত
বামে ও ডানে। সেটি কখনো যাচ্ছিল উত্তরে,
কখনও দিক বদল করে দক্ষিণে।
বললো পাখি, সে ফিসফিস করে কী যেন
বলতে বলতে হেঁটে ফিরছিল তার গুরুর
পর্ণকুটির থেকে।
তাকে দেখে বললো পাখি, ‘মশাই, দেখেছি
ফিরছেন গুরুর পর্ণকুটির থেকে। মনে হয়
কিছু শিখে এলেন সেখান থেকে? কী শিখে
এলেন? -গুরুর মন্ত্র? মাথাটি নেড়ে নেড়ে
সেটি জপ করছেন কি পথে পথে?’
বললো সে, ‘ঠিক ধরেছ। জপ করছি সেই
গুরুর মন্ত্র, এই দেশের আপামর জনগণকে
করতে হবে তো সর্বস্বান্ত। সেকথাও ভাবছি,
কিভাবে করতে হবে চুরির ষড়যন্ত্র’।
আরও বললো সে, ‘এ তালিকা সুদীর্ঘ, বাদ
যেন না-যায় শিশুদের খাদ্য, স্বাস্থ্য, রেশনে
গণবন্টন ব্যবস্থা, শিক্ষা, চাকরীতে নিয়োগ
সহ পাথর, কয়লা ও বালি চুরি।
এ কাজে কষ্ট ভারী। খাটাতেও হবে অনেক
জারিজুরি।
তাই ভাবছি কী করি! ভাবতে ও হচ্ছে যদি
এই কাজ করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ি,
গণমাধ্যমকে যদিও এই সময় বগলদাবা
করতে পারি, এই দেশের বিচারব্যবস্থাকে
কিভাবে সামলাতে পারি?
তাই ভাবছি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল
কে যদি কাজে লাগাতে পারি’।
একথা শুনে পাখির মূর্ছা যাওয়ার উপক্রম।
দম বন্ধ হয়ে সেটি মাটিতে পড়ে খেল বেশ
গড়াগড়ি।