রঙ্গশালায় শুধুই অভিনয় হলে বলার কী আছে।
বিনা সংকোচে দর্শকেরা অভিনয় দেখতে এসে
সে নাটক উপভোগ করে মজলিশে।
কিন্তু সে আর হলো কৈ
আজব কাণ্ড ঘটলো এক দেশে।
বলবো কী আর
অভিজ্ঞতার ঝাঁপি খুলতেই দুর্বার গতিতে
বেরিয়ে এলো কালো বিড়াল।
দেখেছি প্রযোজক বিদুষককে নিয়ে ঢুকলো গ্রিন রুমে
দমে ভরপুর নট-নটীরা
রামছাগল সেজে সেখানে বসে আছে
অভিনয়ের জন্য ওদের বেশ মানিয়েছে
বাজলো ঘণ্টা, পর্দা সরলো, আলোও জ্বললো
প্রযোজক সুড়সুড়ি দিয়ে ওদের মঞ্চে তুলে দিলো
তারপর?
ছাগলগুলো মঞ্চে অভিনয়ের ভঙ্গিতে
শিং দিয়ে শুরু করলো গুঁতোগুঁতি।
পরিণতি? ভাঙ্গলো খেলার রীতিনীতি
অভিনয় পৌঁছলো ফুটবল খেলার ফাউলের পর্যায়ে
বাড়াবাড়ি এমনি ভাঙ্গলো কারো শিং
কারো পেট চিরে বেরিয়ে এলো নাড়িভুঁড়ি
রেফারি হলুদ ও লাল কার্ড দেখিয়েও
ওদের নিবৃত্ত করতে পারলো না
অগত্যা খেলার শেষ বাঁশি বাজালো
শেষ করতে নরক যন্ত্রণা
তবুও মঞ্চ ফাঁকা হলো কৈ?
হৈ-হৈ করে মঞ্চে উঠে পড়লো আরো অনেকে
চারদিকে চললো হাতাহাতি,
শেষে খেলা যুদ্ধে গড়ালো।
বলা ভালো, পরাক্রমশালীরা কি আত্মঘাতী হতে চায়?
তারপর যা ঘটলো সে না-বলাই ভালো।