দেখলে অবাক হবে ওদের অর্থ উপার্জনের পথ
চোরাগলির মতো, ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত।
সমাজকে ক্ষতবিক্ষত করে ওদের রোজগার এতো
সৎপথে যে যাই উপার্জন করুক হার মানতে বাধ্য।
দেখেছি নির্যাতিত সমাজের দিকে চেয়ে,
জ্ঞানহারায়ে চোখ উলটে মাটিতে শুয়ে আছে।
পাশে বসে ওরা কলকিতে তামাক সাজছে।
জ্ঞানহারাদের যাই হোক, তাতে ওদের কী যায় আসে?
মিছে সে ভাবনায় আমল না দিয়ে
ওরা রাতে কোটি কোটি কালো টাকার উপর
কোমল শয্যায় শুয়ে ভাবলো
বেশ তো অর্থ উপার্জন হলো
বোনাসও জুটলো, ‘অহংকার’!
এবার যা খুশি করা যায়, নয় কি?
নির্দ্বিধায় অন্যদের পায়ে মারিয়ে চলা, সেও।
অহংকারের দৌলতে ওদের তর সয় নাকি?
সেই শুরু, দীর্ঘদিন এ কাজ করে দেখালো।
বলা ভালো, ওরা যে বিষবৃক্ষের বীজ পুঁতলো
দেখেছি, সেটি থেকে চারা জন্মালো,
তরতর করে বেড়েও উঠলো।
সৎপথে চললো যারা তাদের অবস্থা?
পাথর চাপা দূর্বাঘাসের মতো
নানানভাবে শোষিত ও বঞ্চিত হলো
কিবা দুষ্কৃতিদের দ্বারা অত্যাচারিত ও ক্ষতবিক্ষত
ক্ষুধাকে জীবনের সাথী করে
হাড়গিলে চেহারা নিয়ে বেঁচে রইলো যারা,
দেখতে ইচ্ছা হলো
তারা আর কত যাতনা সহ্য করতে পারে?
দেখেছি তাদের ক্ষোভ তুষের আগুনের মতো ছড়ালো
ধীরে ধীরে চরমে পর্যায়েও পৌঁছলো
দেখো, তারা ক্ষেপে উঠে করলো কী?
দূরে কী যেন দাউদাউ করে জ্বলছে!
চারদিক কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে।
সেসব জ্বলে পুড়ে স্তূপ হয়ে জমলো ছাইভস্ম,
ইতস্ততঃ করেছি, বসে বসে কী আর করি?
বিছানায় শুয়ে গড়াগড়ি? সেও, ইচ্ছা হলো না।
কৌতূহল কিছু ছিলই, তাই উঠে বসে
মগজে ভাবনার দীপের সলতে উসকে দিয়ে
দূর থেকে দূরবীনে চোখ রেখে দেখেছি
সমাজে শোষিত, বঞ্চিত ও অত্যাচারিতরা
অত্যাচারের শৃঙ্খল ছিঁড়ে ছিন্নভিন্ন করে
শোষণ ও বঞ্চনায় আগুন ধরিয়ে দিলো।
সেসব-ই দাউদাউ করে জ্বললো।
দুষ্কৃতিদের অহংকার, সেও ছাইভস্ম হলো।