জানি না জাতি, ধর্ম, ভাষা স্রষ্টার অভিধানে
আছে কিনা। সেও জানি না, স্রষ্টা এ বিশ্বের
ভূখণ্ড বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বসবাসের জন্যই
ভৌগোলিক ভাবে বিভিন্ন গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ
করেছেন কিনা।
বিনা সংকোচে বলতে ইচ্ছা হয় যখনি দেখি
বিভিন্ন জনগোষ্ঠী যারা মুসলিম, বৌদ্ধ, হিন্দু,
খৃষ্টান কিংবা অন্য কোনও সম্প্রদায় তালিকা
ভুক্ত, ক্ষমতাশালী মানুষদের দ্বারা বিতাড়িত
হয়ে যাযাবরের মতো ঘুরছে পথে পথে কিংবা
নৌকায় ভেসে বেড়াচ্ছে সাগরের বুকে, বাঁচার
জন্য অত্যাবশ্যক খাদ্য এবং পানীয় জল সহ
চিকিৎসার অভাবে জীবন সংগ্রামে হেরে গিয়ে
তাদের অনেকে মরছে সাগরে, তারা কি খুবই
অপরাধ করে ফেলেছে?
হায়রে, কত কী ঘটে এ বিশ্ব সংসারে। দেখছি
মেঘ-কালো আকাশ। উঠছে প্রলয় কারী ঝড়।
বিশ্বসংসার কাঁপছে থর থর।
বলতে ইচ্ছা হয় যারা মেঘেদের মতোই ঘুরে
বেড়াচ্ছে, তারা মানুষের মতো দেখতে হলেও,
মানুষের মতো তাদের বাঁচার মৌলিক সমস্ত
চাহিদাগুলো থাকলেও, মানুষ থেকে মৌলিক
বিভেদ খুঁজে পাওয়া না গেলেও তারা হয়তো
মানুষ নয়।
এ কথাটি বলা অত্যুক্তি হবে কি তারা মানুষ
হলে এ বিশ্বে তাদেরও জুটতো মানবাধিকার,
জীবন হতো না ছারখার? নাকি বলতে হবে
অতলে তলিয়ে যাচ্ছে মানবতাবোধ।
জানার তাগিদে বলতেও ইচ্ছা হয় স্রষ্টা তুমি
বলবে এ বিশ্বে কাদের আছে বাঁচার অধিকার?