তীব্র দাবদাহে সইতে হচ্ছে সূর্যের চোখ রাঙানি
কখন থামবে তার এই রোষানল, কী জানি!
চলছে এ কি ধ্বংসযজ্ঞের আয়োজন?
এখন আকাশে মেঘমণ্ডলীরও নেই দেখা
গায়ে এসে বিঁধছে রোদের হলকা।
কী জানি, কালের ঘোড়া হলো কি একরোখা?
তারি ছায়াতলে হলেও মানুষের মতো অবয়ব
সেগুলো মানুষ কিনা জানি না
বসুন্ধরায় দানবের মতো দিচ্ছে জঙ্গি-হানা।
এসব কর্মকাণ্ড মনে হলেও ‘উদ্ভব’
হয়তো লালসা ভোগী দানবদের পক্ষেই সম্ভব?
ওরা মাদকাসক্ত, মজেছে বেশ উল্লাসে
ভাবখানা, 'বিশ্ব ধ্বংস হলেও কী যায় আসে।'
তারা ধ্বংসযজ্ঞের আগুনে দিচ্ছে ঘৃতাহুতি
এ কাজে এতো ব্যস্ত, মুহূর্তের জন্যও নেই বিরতি।
দামাল হাতির মতোই ময়দানে নেমে
প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে নির্বিচারে।
পরিণতি? এখন উপলব্ধ হচ্ছে হাড়ে হাড়ে
'পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে জৈব বৈচিত্র।'
জানিনা, দেখতে হবে এমনি আরও কত!
দামালগুলো এখানেই থেমে থাকেনি
ওদের কর্মকাণ্ডে পায়ের নীচে বারুদের স্তূপ,
এসব দেখে স্রষ্টা করলেও বিদ্রূপ
ওদের ভাবখানা, ‘তাতে কী আসে যায়?’
নিরীহ মানুষগুলো আজ বড়োই অসহায়
বেদনায় মুখ লাল হলেও করবে কী?
নির্ঘুম রাতেও ভাবছে বসে,
‘ঘোর বিপদ কি ঘনিয়ে আসছে?
অনিশ্চয়তায় তীব্র যন্ত্রণা বুকেও ধরছে কষে।
তারা এ কথাও ভাবছে বারুদের স্তূপে বসে,
'ঘটলে এই বারুদের স্তূপে বিস্ফোরণ,
কে জানে, ঝলসে যাবো কখন?’