গর্ত খুঁড়েছ কত? ভুলে গেছো?
শুনবে ইঁদুরদের সমীক্ষা রিপোর্ট?
তন্নতন্ন করে খোঁজাখুঁজি করে এসে ওরা
বলছে মর্তভূমিতে বিগত সময়কালে গর্ত
খুঁড়েছ নাকি শত শত। সে গর্তগুলোতে
পা হড়্কে পড়েছো ও নাকি বহুবার আর
তারপরও হওনি সংযত।
শুনবে ওরা বললো আরও কী? বললো,
'ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পর হতোদ্যম হওয়া
দুরস্ত, বজায় রেখেছিলে বন্যদের মতো
ধ্বংসাত্মক কাজ। এখন নাকি পড়েছে
ললাটে চিন্তার ভাঁজ।'
হায়রে, মোটেই ভাবলে না প্রকৃতি এই
ধ্বংসাত্মক কাজ সহ্য করবে কতখানি?
তারও তো সহ্য করারও সীমা আছে।
ভাবলে না প্রকৃতি ধ্বংসযজ্ঞ চালালে
তার ব্যাপ্তি ঘটবে কতখানি।
দেখছো এখন কিভাবে ঘট ঘট করে
ছুটে আসছে প্রকৃতির রথের ঘোড়া?
ভাবখানা ওরা যেন প্রতিশোধ নিতে
হয়েছে তৎপর।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জেনেছি যোশীমঠ
সুরক্ষিত নেই আর। পথে, বাড়িঘরে
ধরেছে বড়ো বড়ো ফাটল। ভূমিধ্বস
হচ্ছে অনর্গল।
বলি, ভাবছো উন্নয়নের মাদকতায়
করলে কী? ভাবো, করলে কী হারে
বৃক্ষছেদন? জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়তে
করলে নাকি প্রকৃতির ক্ষতি? গড়লে
কত জনবসতি?
দেখো, আকাশে জমছে মেঘের স্তর।
শুনছো মেঘের গর্জন। ভাবো, এখন
করবে কী?