বললো কাকাতুয়া
তোমার গালে ও কপালে নাকি বহু কাটা দাগ
শাক দিয়ে মাছ ঢাকবার মতো
সেগুলো ঢাকতে চেষ্টা করলে অবিরত।
শত চেষ্টা করে সাফল্য মিললো না
কসমেটিক সার্জারি করেও মোছা গেল না
মেক আপ করেও হলো না।
বেদনা সুচের মতো বুকে বিঁধলেও করবে কী?
এ জীবনে সেগুলো বয়ে বেড়ানো ছাড়া উপায় কী?
কর্মজীবন এমনি বেছে নিলে
যেতে হয় জনারণ্যে, এমনকি সুন্দরবনের জলে জঙ্গলে
আয়নায় নিজের এ মুখ দেখলে আঁতকে উঠতে হয়
দিবসে জনারণ্যে না-গেলেও নয়
সাংবাদিকদের ক্যামেরায় বন্দী হতে হয়
কেউ এ দৃশ্য দেখে সমালোচনা করছে কিনা, ভয়!
আলপিনের মতো অনবরত অলিন্দে খোঁচা মারে
রোজই উপলব্ধি করছো হাড়ে হাড়ে
এ দৃশ্য দেখে লোকজন করছে কারণ পর্যালোচনা
সেসব কানে এলেও তোমার সহ্য হয় না।
মনে পড়ে গল্পের সেই উলঙ্গ রাজার কথা
কে জানে আছে কি তার সত্যতা?
এক শিশু রাজাকে বললো, ‘রাজা উলঙ্গ কেন?’
তার মুখ চেপে রাখা গেল না।
বললো কাকাতুয়া, ঘটছে তেমনি যে কাণ্ডখানা
ঘটনা কানে এলে আয়না কেও ছাড় দিলে না,
চেষ্টা করলে সেটি ভেঙে খান খান করতে
না-পেরে যাতনা সইতে,
মেঘে ঢাকা তারাও ছাড় পেলো না
সাংবাদিকদের ক্যামেরার ল্যান্স, তারও ছাড় হলো না।
বললো পাখি, জীবন যন্ত্রনা বাড়লে কত কী ঘটে
মুখমণ্ডলের ভয়ানক সে দৃশ্য লোপাট করতে
তৎপর হয়ে যেসব কাণ্ড করে বসলে
একেবারে হাল আমলে
কে বলতে পারে তোমার সাফল্য জুটবে কিনা?