দেখেছে কাকাতুয়া, বিগত নির্বাচনের
ক’দিন আগে বাবুমশাই তার গাঁটের
কড়ি খরচ করে পথ-কুকুরদের নেড়ি
বিস্কুট দিলো।
এই দেখে আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে ওরা
লকলকে জিভ বের করে লেজ নেড়ে
সেই বিস্কুট খেয়েছে আর দলদাসের
মতোই তার সাথে প্রতিদিন করেছে
ঘোরাঘুরি।
এই কাণ্ড দেখে কতগুলো বিড়ালও
কোথা থেকে দৌড়ে এসে ভিড়লো
সেই দলে।
পেটে লাগলে আগুন, কেউ কি চুপ
করে বসে থাকতে পারে? ওরাও
শুরু করলো পথ কুকুরদের সাথে
বিস্কুট নিয়ে কাড়াকাড়ি।
বাবুমশাই ওদের ধমক দিলে ওরা
তার পা জড়িয়ে ধরেছে। সে তার
মনোরঞ্জনে ওদের কখনো কোনও
নির্দেশ দিলে ওরা তার সেবা যত্নে
নিজেদেরকে উজাড় করে দিতেও
কার্পণ্য করেনি মোটেই।
ওদের এমন আচরণ দেখে উৎফুল্ল
হয়ে বাবুমশাই ভাবলেন ওদের কে
লাগবে তার মনোরঞ্জনের কাজে।
এই ভেবে তিনি ওদের নামধামও
লিখে রাখলেন তার হলুদ রঙ্গের
দলদাসের খাতায়।
এখন নাকি তারা কখনো সখনো
তার নির্দেশ পালনে বেঁকে বসে।
ওদের এই কর্ম দেখেই বাবুমশাই
ওদের ডেকে বললেন, ‘ওরে, সব
গণ্ডমূর্খ! তোদের জন্য নির্বাচনের
আগে কি কম অর্থ ব্যয় করেছি?
যা খরচ করেছি সেকি নিঃস্বার্থ
দান ছিল? দেখবি আয়, তোদের
সবার নাম লিখে রেখেছি আমার
দলদাসের খাতায়।
তোরা এখন আমার নির্দেশাবলী
অমান্য করলে চলবে নাকি?’
বললো কাকাতুয়া, এই কথাগুলি
শুনে ওরা যেন একেবারে ক্রিকেট
খেলায় তার গুগলির মুখোমুখি।
খেলবি কী! বোল্ড-আউট হতেও
আর থাকে বাকি?