দেখেছি এক দেশে সেকী প্রতিবন্ধকতা,
একেবারে অচলায়তনের মতো!
একটা ভল্লুক জনজীবন স্তব্ধ করে বসে
পড়লো চৌ-রাস্তার মোড়ে।
মিথ্যার জটাজাল ধরে মাটি কামড়ে
থাকতেও চেষ্টা করলো।
ভাবলো সেটি, সাধ্য কার? কে, আর
তাকে সরাতে পারে?
সাধারণ জনগণ ভাবলো, পরিস্থিতি যা
দাঁড়ালো সেকি অদৃষ্টের লিখন?
কী করে সরাবে এই অচলায়তন?
কেউ কেউ পাঁজি দেখে হিসাব কষতেও
শুরু করলো, সেটিকে কবে সরানো যাবে
সেই দিনক্ষণ।
ভল্লুক নির্বিকার। ভাবলো সেটি যে যাই
করুক, তাতে তার কী আসে যায়?
বোঝেনি সেটি হলেও সুবিশাল ও মস্ত
ভারী, নিজেকে অচলায়তন ভাবলেও
খাটবে না কোনও জারিজুরি।
এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুগে কে, কবে
নিজেকে বাঁচাতে পেরেছে এভাবে?
অচিরে আকাশ ঢাকলো কালো মেঘে,
অশনিও তক্ষুণি উঠলো জেগে।
প্রযুক্তিবিদরা কানাঘুষো করলো এক সুরে
সেটিকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে বহু দূরে।
তারা ভাবলো রসে বশে, যদিও সেটি মাটি  
কামড়ে বসে আছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি
প্রয়োগ করলে সেটি করবে কী?
মাটি আগলে ধরে থাকতেও পারবে নাকি?
দেখেছি তারা অতি ক্ষমতা সম্পন্ন ক্রেন নিয়ে
এসে এই জন্তুকে শিকল দিয়ে ক্রেনের সাথে
বাঁধলো কষে।
এমন দুর্দশায় পড়লে রক্ষাকর্তাও কী বাঁচাতে
পারে?
দেখছি, যখন ইঞ্জিনের সাহায্যে তাকে দিলো
টান ,সব প্রতিরোধ হলো খান খান, ভেঙ্গে
চুরমার।
বুঝলো সেটি, আর সুনজরে নেই বিধাতার।
দাঁতে দাঁত চেপে প্রতিরোধ করারও আর
তার সাধ্য নাই।
ভল্লুক, সুড়সুড় করে সরে না-গিয়ে করবে কী?