পথের ধারে অবুঝ মুখে কাঁদছে একটা শিশু
সান্তনা নয় শুধায় সবাই, ডাকিস কারে -আল্লা না-কি যীশু ?
কি তোর জাত ? ধর্ম-টা কি ? কি তোর জাতীয় ফুল ?
কে তোর ধর্ম কবি - রবীন্দ্র না নজরুল ?


খিলখিলিয়ে উঠল শিশু , ভুবন-মোহন হাসি
দুচোখেতে ভাসে যে তার -  ক্ষুদিরামের ফাঁসি
শিশুর  চোখে দেখল সবাই, অদ্ভুত এক আশা
ফুটলে বুলি বলতে চায় সে বাংলা মায়ের ভাষা ।
সেই হাসিতে মিলল দেখা, দেশের শহীদ বীর
প্রাণের ছোঁয়ায় একাকার - খ্রীষ্ট,রাম ও পীর
ওর মনেতে, প্রাণের চেয়েও দেশের মানুষ দামী
প্রণাম জানাই, দেশমাতাকে – ও মোর জন্মভূমি
স্বর্গ-মর্ত্ত্য-পাতাল সমান আমার দেশের মাটি
প্রাণের চেয়েও অধিক প্রিয় আমার মায়ের হাসি ।
        
শহীদ বীর তাদের থেকে আমরা অনেক ছোট
ছোট্ট শিশুর মুখের হাসি , যেন বলছে এসব কিছু
হাজার জাতি এক হয়ে যায় দেশমাতারই কোলে
“বন্দেমাতরম” যাচ্ছে শোনা ভারতবাসীর বোলে
কফিন থেকে ভাসছে যে সুর , দিচ্ছে দেশে পাড়ি
বলছে তারা, মা-গো - যেন এই দেশেতেই মরি
শেখায় শিশু, আমরা সবাই একটা মালায় গাঁথা
মায়ের ত্বরে সইতে পারি বুলেট কিংবা ব্যথা
পাইবে না মা দুঃখ তুমি, মোদের সবার ভুলে
দুই বাংলাকে এক করে দাও রবীন্দ্র না নজরুলে ।