আমার কাপুরুষতা ব্যঙগ করে আমায় প্রতিনিয়ত ;
আমার আতশকাচের নিচে জমতে থাকা কীর্তনখোলার    ঘোলা জল;
শিকার হয় তোমার অবহেলার।
ঠিক মধ্যরাতে কবিতার বই থেকে
ঢেউ হয়ে উঠে আসে অক্ষরগুলো,
অ,আ,ক,খ গুলো সজোরে মুখ থুবড়ে পড়ে তোমার পাটভাঙা চুলের ওপর।


এক অসহ্য যন্ত্রণায়,
ক্ষনেক্ষনে কেপে উঠছে আমার শিরদাঁড়া ;
বুঝতে পারি -
আর উষ্ণ রক্ত বয়ছে না আমার ধমনি-শিরায়।
হ্যা,আমি কাপুরষ হয়ে গেছি,
তোমার কাছে আসতে পারিনা।


আমি হাসতে থাকি;
আমি হাসতে থাকি নিজের নসিবের উপর,
আমি হাসতে থাকি আমার কবিতার উপর
তোমাকে নিয়ে লেখা কবিতায় শুধু আমি,আমি,আমি আর আমি....


তোমার কাছে আসতে পারিনা জেনে কৃষ্ণচূড়ারা আজ ক্রোধে লোহিতবর্ণা;
আমি ধাতস্থ হতে পারিনা-কোনটা কৃষ্ণচূড়া ফুল, আর কোনটা তোমার আদুরে লালাভ গাল।
তোমার জন্মতিথিতে ফোটা শিউলির গন্ধে নিদ্রা ভঙগ হয় আমার,
শিউলীফুলের মৌ মৌ গন্ধেই সেরে নিই শেষরাতের সেহেরি।


আমি তোমার কূলে আর নৌকা ভিড়াতে পারিনা-
উদ্দেশ্যহীন স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়ে এখন আমার ভরাডুবির উপক্রম ;
হ্যা,আমি কাপুরষ
তোমার কূলে আছড়ে পড়ি,তবু আকড়ে ধরতে পারিনা।


এই নশ্বর সৌরজগতের বিন্দুসম গ্যালাক্সিতে তোমার আমার দেখা;
একি কাকতালীয়? নাহ পূর্বপরিকল্পিত?
এ যাবতকালীন আমি ভাবছি,
এ যাবতকালীল আমি শুধু ভাবছি,
আমার কোন হস্তরেখা বিভেদ তৈরি করেছে তোমার আমার মধ্যখানে?
জোৎস্নারাতে ছাতের এককোনায় বসে সূর্যালোকের অপেক্ষারত আমি পাগল বই কি!!


আমাদের দেখা হয়েছিল কৃষ্ণচূড়া ফোটার দিনে,
কালবৈশাখী এসে সবফুল ঊড়িয়ে নিয়ে গেছে।।।