আবেগ দিয়া কিনছি জীবন, আবেগ হইল কাল,
আবেগ সাগরে ডুবছে জীবন, বড়ই বেশামাল;
বিশ্ব জুড়ে যত মানুষ, সব যে আবেগের নাও,
আবেগ বিনে অন্য প্রাণীর কমে যায় মূল্যটাও।


মানুষেরাও যখন আবেগ হারায়, হয়ে যায় বন্য,
আবেগ ছাড়া এই পৃথিবী হলে হতো বড় জঘন্য;
আর সেই আবেগ পুঁজে কিছু মানুষ করে খেলা,
সময়ের সাথে বদলে গিয়ে করে যায় অবহেলা।


মম আবেগগুলি মেঘ হয়ে ঐ উড়ছে দূর গগনে,
আর বৃষ্টি হয়ে মাঝে মাঝে পতিত হচ্ছে ভূবনে;
আমার সাথেই কেন নিয়তি এমনটা করে চলে?
আমি বারবার ধোঁকা খাই, খেয়ে যাই অবিচলে!


আমি মানুষ চিনি না রে এই ভণিতার ধরাধামে,
ছলনার শিকার হই যেদিকে যাই ডানে কি বামে;
সকলেই সিদ্ধির ফাঁদ পেতে রেখেছে রে বরাবর,
সদয় দেখি কেউ নাই গোটা পৃথিবীটাই স্বার্থপর।


আমি কেবল আপন ভাবি চারপাশে যারা মোর,
তারা সবে কুয়া খোড়ে ফাঁদে ফেলতে বড়জোর;
আমি তবুও তাদের ভালোবাসি যারা করে ছল,
জীবনটা ক’দিনের সখা ওরা হলো বুঝি বিহ্বল!


ঐ দেখ যৌবন ঢেকে যাচ্ছে দিগন্তের কুয়াশায়,
ঐ দেখ ফিরে আশাদের গিলে নিচ্ছে নিরাশায়;
এবার অন্ততঃ থামাও আবেগ নিয়ে গুটি খেলা,
মানুষ হও চিরতরে ডোবার আগে জীবন বেলা।


আবেগের বেগে উঠুক মস্তক জেগে জনে-জনে,
আবেগ নিয়ে খেলার কীট যত জ্বলুক হুতাশনে;
আর আমার আবেগ পুঁজি করে যে করেছ ছল,
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে হব তোমার জন্য খল।


রচিত: ১৭ আগস্ট ২০২৩; মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭