আমার ছুটি হলো প্রেয়সী!
যাচ্ছি তব হাত ছেড়ে আর না ফেরার দূর গন্তব্যে,
নীল আকাশে হাজার তারার মাঝে যাচ্ছি হারিয়ে;
আমি জেনে গিয়েছি এ ছুটি কভু শেষ হবার নয়,
তাই তোমায় দেয়া মায়াগুলি নিয়ে যাচ্ছি ফিরিয়ে।

হয়ত তুমি ফিরে আসতে বলবে না আর সংসারে,
তাই আমিও না আজ কোনো পিছুটান মেনে নেব;
তোমার চোখে আমার বোনা স্বপ্নগুলি দিয়ে দাও,
নিবিড় মর্মে যত্ন করে অনন্তকাল রেখে দেবো।

তব চাওয়া যদি না মিটে থাকে, তবে নিজ হাতে
একটা চিঠি লিখে দিও গেঁথে আমার কাফনেতে;
ঈশ্বরকে আমি দিয়ে সে চিঠি করব জোর মিনতি,
যেন মোর পুণ্য তরে তব চাওয়া মিটায় ভুবনেতে।

উন্মুক্ত গগন আজ পুরোটাই তোমার বিচরণভূমি;
মুক্ত করে দিলাম পাখি যতদূরে যাবে তুমি যাও;
কেউ আর তোমায় বুকের খাঁচায় করবে না বন্দি,
লাগামহীন যত লালিত ইচ্ছে নাও মিটিয়ে নাও।

আজ থেকে তুমি  আমার ভালোবাসার মুক্ত বিহঙ্গ,
দূরে কিংবা কাছে থাক প্রেম কমবে না এক বিন্দু;
আমি ওপারেও তোমার সাধনায় থাকব ঠিক মত্ত,
তোমায় চাই শত জনমেও তুমি আমার মায়া-সিন্ধু।

আমার ছুটি হলো প্রেয়সী!
বিদায় দাও, ডাকছে নিয়তি, আমার যেতেই হবে,
সুখে থেক তুমি নতুন করে কিম্বা পুরোনো স্মৃতিতে;
ফের দেখা হবে ওপারে যদি চাও তুমি সত্যিকারে,
তোমার জন্য করব প্রতীক্ষা আমি শাশ্বত-প্রীতিতে।


রচিত: ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮; মাঝবাড়ি, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।