আমি কবিতার মধ্যে কবি, কবিতার জন্য কবি,
কবিতা কে ভালোবেসে কবি- তোমাদের জন্য নয়!
যদি এ কবিত্ব-নভে না হয় উদয় মানব মুক্তির রবি,
তবে কোরো না গ্রহণ এ কবিত্বকে ব্যর্থ কর্ম সমন্বয়।


আমি সার্থক তখনই যখন মানবতার পক্ষে হয় যুদ্ধ,
আমার রচন বচন সর্বস্বের বিনিময়, ক্ষোয়া যাক মৃন্ময়;
নতুবা থাক না আমার এ কবিত্ব কবিতাতেই সীমাবদ্ধ,
জগত কুলে পৌঁছুক শুধু মোর মানব মুক্তির বাণীদ্বয়।


আমার সংগ্রাম শুধু কবিতাতে নয়, কবি হয়ে নয়,
মানব রূপে মানবতার নেপথ্যে দুর্দান্ত অভিযান;
জুলুমের কারাগারে আর কতোকাল রবে দুর্জয়,
ওই দেখ মুক্তির সূর্যোদয় মানব ছাড় ঘুমের ভান।


চাঁদ, সূর্য, গগন আজ ঝলসিয়ে গায় গান দুর্বার:
‘মুক্তি চাই, মুক্তি চাই- কে আছ মানব সীমানায়?’
কেউ শোনে না, কেউ বোঝে না, কেউ দেখে না তার-
হৃদয়ের এ নিহিত চরণ; আমায় সে বার্তা শোনায়।


তাই ওদের সনে মুক্তির গানে আমিও সুর মিলাই,
মানবতার অভ্যন্তরে আমি হয়ে মুক্তির বার্তা বাহক;
পৃথিবী সংস্কারে আমি অজস্র গ্রন্থ রচনা করে যাই,
যদিও কাব্য বিলাই তবু কবি নই মানবতার উদ্ভাবক।


মুক্তির শক্তি, বিজয়ের যুক্তি এনেছি আমার অভিধানে,
আর নয় হাহাকার, শোষণ-পীড়ন, সম্মুখে হেনে আঘাত
জুলুমের প্রাচীর ভেঙে করব বিরান মানবতার টানে,
জয়ের দিগন্তে ভিড়াবই কুসুম-রানীর রাঙা প্রভাত।


আমি স্বার্থের টানে আসিনি এখানে, আসিনি কবি হতে,
আমি এসেছি মানবতার সংগ্রামে দিতে নিজেকে লুটাই;
তাই কবি বলে আমায় অহংকারী কোরো না জগতে,
কবি নয়, আমি মানবতার মানব হয়েই বাঁচতে চাই।


॥ রচিত: ০৯ নভেম্বর ২০১৮, নিজ ভবন, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ॥