প্রিয়তমা,
জীবন্ত ভালোবাসায় হয়নি দেয়া চিঠি তোমায়!
আজ ভালোবাসা যৌবন-হারা,
ফুরিয়ে গিয়েছে যত হরমোন যত ক্যালসিয়াম,
স্কিনও নেই আর নজরকাড়া;

কারণ,
অতৃপ্ততায় ভুগে প্রেম আজ হলো যে দ্বিখণ্ডিত,
কিছু দুষ্প্রাপ্যের কলঙ্ক লয়ে;
হৃদয়ের সুবাসে ভালোবাসা জন্মেছিল একান্তে,
ফুরাল তা লোকালয়ের ভয়ে।

আচ্ছা...
ভালোবাসা কি যৌবন আর প্রাপ্তিতে নির্ভরশীল?
তুমি কি ভাবনি আমার মতো?
তবু আজ তোমার সীমান্তে ডেকেছ বিদায় বেলা,
বাঁধা কি দেয়নি তব হৃদ-ক্ষত?

ওগো,
তব প্রেমের সূতয় বুনেছ মায়ার জাল এই দিলে,
আমি এঁটে গিয়েছি সে জালে;
তবু হয়নি পূর্ণ তোমার প্রাপ্তির থলে এই মর্মে,
চেয়েছ ভিড়ব হৃদয়-মাতালে।

আহা!
এ কোন ভালোবাসার অর্থে হেরে গেলাম হায়!
এ হার কি আমার না তোমার?
বিচ্ছেদ যন্ত্রণায় যেমনি তুমি হয়েছ অন্তর মরা,
তেমনি খরা অন্তরে আমার।

প্রেয়সী,
চেয়েছিলে তুমি রবে জীবন যজ্ঞের চির অদ্বিতীয়া,
আহ্ তুমি তো বোঝ না সমন্বয়!
চেয়ছিলে আমাতে উন্মুক্ত ভালোবাসার স্বীকৃতি
স্বীকৃতিরেই কি ভালোবাসা কয়?

তাইতো,
আমি আটকে গেলাম তোমার সম্পর্কের  দ্বন্দ্বে,
কিছু অসামঞ্জস্যতার প্রতিকূলে;
জানি না এ আমার কতটুকু সঙ্গত কিম্বা অসঙ্গত,
শুদ্ধ নাকি এঁটেছি মহা ভুলে!

জানি,
ভালোবাসার প্রতি তুমি আজ বিশ্বাসহীন তপস্বী,
কারণ তুমি যে ছিলে নিকষ অন্ধ;
তাই যৌবন থাকা সত্ত্বেও অতৃপ্তির অশ্রু তব নয়নে,
সে অশ্রুতে লেখা মৃত চিঠির ছন্দ!


।। রচিত: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, আপন নীড়, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ ।।