চিরকুটে করে তোমায় ভালোবাসি বলা হয়নি বলে:
ভেবো না তোমায় ভালোবাসিনি;
প্রজাপতির ডানার রঙে তোমার ইচ্ছে মিশাইনি বলে:
ভেবো না তোমাতে স্বপ্ন দেখিনি।


আমি অবাধে তোমার রূপের প্রশংসায় মজিনি বলে:
ভেবো না মুগ্ধ হইনি তোমার রূপে;
তোমায় দেখার ইচ্ছাতে হাজার বায়না ধরিনি বলে:
ভেবো না পড়িনি নেশার নলকূপে।


তোমার ডাকে ছুটে একসাথে ফুচকা খাইনি বলে:
ভেবো না প্রেমহীন শুকনো ফুল;
তোমার কাঁধে মাথা রেখে চলচ্চিত্র দেখিনি বলে:
ভেবো না ইচ্ছে মরা নিথর পুতুল।


বসন্তের দিনে কোকিল হয়ে তোমায় ডাকিনি বলে:
ভেবো না যে কণ্ঠে আমি কর্কশ;
শীতকালে তোমার গায়ে কুয়াশা হয়ে ঝরিনি বলে:
ভেবো না চাই না তোমার পরশ।


বৈশাখে দুজন কাপল পোষাক পড়ে ঘুরিনি বলে:
ভেবো না কোনো রং নেই মনে;
একসঙ্গে কখনো লং-ট্যুরে গিয়ে মাস্তি করিনি বলে:
ভেবো না সুখ খুঁজি না নির্জনে।


বৃষ্টির দিনে নীল খামে আহ্বান-পত্র পাঠাইনি বলে:
ভেবো না একাকীত্বে চাইনি তোমায়;
তোমার মাথার ওই ছোট্ট চুলের প্রেমে পড়িনি বলে:
ভেবো না ফুল গাঁথব না খোঁপায়।


তোমার চোখে চোখ রেখে ভালোবাসি বলিনি বলে:
ভেবো না আমি আনরোমান্টিক;
নির্জনে তোমায় একাকী পেয়েও হাত ছুঁইনি বলে:
ভেবো না সাহসে আমি অলীক।


ভালোবাসতে লাগে না অপার রূপ-সৌন্দর্য বলেই:
আমি তোমায় ভালোবাসি ঠিক;
আর ভালোবাসতে সাহসের বিচার করি না বলেই:
আমি তোমার শাশ্বত প্রেমিক।


রচিত: চতুর্থ প্রহর (4:00 AM) ৮ আগস্ট ২০২২; নিজ ভবন, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।