সত্যকে বাহ্যিক করে চলে কে জগতটাতে!
দেখি না তো বিনা ছদ্মবেশ এ মনুষ্য জাতে।
আত্মার কালি দেহ-তন্ত্রে করিয়া রে আড়াল,
বাঘের ধর্ম বাহ্যিক আর অন্তরেতে বিড়াল।


এ ভূপৃষ্ঠের যে পল্লব’ই করে মোর দৃষ্টি বরণ,
মনুষ্য নাই দেখি শুধু কালো আত্মার বিচরণ।
পাপের প্রখরে বিনষ্ট আত্মা অশিষ্টের দখলে,
সাধুপনার মুখোশ পরে সবে ছদ্মবেশীর দলে।


তোমরা যাদের মানুষ দেখ বাস্তব অভিজ্ঞতায়,
আমার চক্ষে দূরদর্শি যত নষ্ট ভ্রূণ এই ধরায়।
যদিও জন্মসূত্রে দেহাকারে ফুটন্ত মনুষ্য চিত্র,
তবু চিত্ত বৈশিষ্ট্যে অস্তিত্ব হয়নি আজও পবিত্র।


অন্তরের অন্তরালে মোহিত যত কালো তৃষ্ণা,
দেখি ধূর্ত জ্ঞানী সম্মোহনী, কেউ শিষ্ট সদৃশ না।
কালো পথে চলতে-চলতে চিত্ত আজ হলো শূল,
কালো পন্থাই যেন বিবেক গৃহের চির অনুকূল।


বেইনসাফী জমি লুণ্ঠন করে সাজে ছদ্ম জমিদার,
প্রতিপত্তি রয়েছে যার তারই যেন সব অধিকার।
বিচক্ষণতায় বোধশূন্য যার মূর্খতা আপাদমস্তক,
তবু বিত্তবান বলে সে’ই পায় যোগ্যতার মোড়ক।


এ মহাবিশ্বের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছদ্মের কোলাহল,
কৃত্রিমতায় গড়েছে এ ভূপৃষ্ঠ এক মিথ্যার মহল।
ছদ্ম বিনা অনুসন্ধিলে মিলবে রিক্ত ফলাফল,
আর কত ঢংয়ে সাজবে ওহে ছদ্মবেশের দল!


কলুষিত এ সমাজে আজ ধূম্রজালে বদ্ধ ধ্যান,
বিবেক সে তো সীমাবদ্ধতায় বেষ্টিত রুদ্ধ জ্ঞান।
তাই ধরিত্রীর এহেন পর্যায়ে যে যত ছদ্মবেশধারী,
সে’ই তত যোগ্যতায় সমাসীন জয়জয়কার তারই।


॥ রচিত: ২৬ অক্টোবর ২০১৮, বাসা আঙিনা, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ ॥