ঘুম ভাঙতেই বিশাল নাট্যমঞ্চ
নিখুত কসটিউমস এ চোরটাকে পুলিশ বলেই মনে হয়,
বোঝার উপায় নেই ভিক্ষুক বুড়োটা আসলে লাখপতি।
এই যে ছেলেটা ভাত খাবে বলে দুটো টাকা নিয়ে গেল
তা দিয়ে এখন নির্দিধায় বিড়ি ফুঁকছে
বর্ষসেরা পুরষ্কারটা হয়তো তাকেই দেওয়া হবে।
ডাক্তারগুলোর অভিনয় খুবই নিম্নশ্রেনীর
হাসি হাসি মুখ করে বলে ‘আই অ্যাম স্যরি’।
সোডিয়াম লাইটের আলোয় আরো রহস্যময় হয়ে ওঠে মঞ্চ
যে লাশটা ঘিরে এত কান্নাকাটি, দেখা গেল
লোকটা এখনো মরেই নি
হয়তো এক্ষুনি নড়ে চড়ে উঠে বলবে সরবত খাব,
অথবা হেসে কুটিকুটি হয়ে বলবে ‘এপ্রিল ফুল’।
রাত যত গভীর হয় অভিনয় তত কমে
শুধু গভীর রাতের ললনাদের তখন ওয়ার্কিং আওয়ার।
ওদের কাছ থেকে আমিও অল্পবিস্তর অভিনয় শিখে ফেলেছি
যান্ত্রিক মানুষগুলোর মত আমিও কৃত্তিম ব্যস্ততা দেখাই,
যখন তখন নির্বিকার বলে দিতে পারি
‘আমি ভালো আছি’।