নজরুলের লেখা পড়ার সময় অন্যরকম অনুভূতি ও উদ্দীপনা কাজ করে। কারণ সমসাময়িক কবি সাহিত্যিকদের মধ্যে একমাত্র তিনিই যুগের চারিত্র্য ধর্ম  দর্শন যথার্থভাবে গ্রহণ ও রচনার মধ্যে প্রতিবিম্বত করতে পেরেছিলেন। যা মধুসূদন, জীবনানন্দ, রামমোহন, বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র, হেমচন্দ্র, নবীনচন্দ্র, রঙ্গলাল কেউই নজরুলের মতো হতে পারেননি এবং তাঁদের রচনায় যুগের প্রভাব তেমন পড়েনি। এসব লেখক ব্যস্ত ছিলেন রবীন্দ্র প্রভাবমুক্ত হওয়া অর্থাৎ রবীন্দ্র বলয় থেকে নিজেদের মুক্ত করে নতুন ধারায় কবিতা রচনা করা। সফল হয়েছিলেন বটে কিন্তু নজরুল দেশ ও জাতির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি নিজেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সফল সৈনিক ছিলেন। তাই তাঁর রচনায় প্রতিফলিত হয়েছে মাটি ও মানুষের কথা এবং তাদের মুক্তির চিরন্তন বাণী। এই কারণে নজরুলের লেখা পড়ার সময় যতটা রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় অন্যকোন লেখকের লেখা পড়ার সময় তা হয় না। নজরুলের লেখা চিরঞ্জীবী হোক।