কালো মেয়ে, সারাদিন তোমার মলিনীমা রূপ দেখে দেখে
গতরাতে আমি পলকমাত্রও ঘুমুইনি।
ঘুরেছি রাতভর পৃথিবীর বাইরের যতো শহরে
হেঁটেছি অপৃথিবীর সব গলির বামপাশে।
সেখানে মানুষের চো‌খে অশ্রু নেই!
আমি অশ্রুপাতহীন মুখশ্রির দিকে তাকিয়ে
খুব করে আত্মস্ত করেছি সোমালিয়ার ফেমিন
জলহীন চোখে বেড়ে উঠতে দেখেছি সম্রাজ্যবাদ!


এরপর আর কান্না করো না কালো মেয়ে।
তুমি অন্য কোনো প্রাসাদের মডার্ন রানী হও,
কনুইয়ে ব্যানিটি ব্যাগ ঝুলিয়ে করতে যাও শপিং।
অভিজাত রেস্তুরায় সেরে দুঁপুরের লাঞ্চ
শেষ বিকেলে দেখতে যাও আকাসাকির ছবি।
তুমিতো জানো, আমার দৃষ্টিপাত বিপ্লবের দিকে,
আমার হৃদয়িক টান হাতে তুলে নেয় অশান্তি।
বিশ্বাস করো, তোমায় ছাড়া আমি আর কাউকে ফিরাইনি।
অবিশ্বাসকে ফিরাইনি, ঘৃণা আর অবজ্ঞাকেও ফিরাইনি।
শুধু বারবার নিজ থেকে নিজেকেই ফিরিয়ে
অরণ্য থেকে অরণ্যের দিকে যাচ্ছি।


কালো মেয়ে, গতরাতে আমার দুচোখ
পৃথিবীর বাইরের কোনো বিছানাই খোঁজে পায়নি।
শুধু সারা রাতভর অবাক হয়ে দেখেছি
অসৌন্দর্যের গৌরব, আহমিকার চির-দা‌ম্ভিক সয্যা।
আমি তবে কেমনে ঘুমুই বলো?
কেমনে রাখি প্রশান্ত জোসনার বুকে হাত?
বরঞ্চ, তোমার অস্তমিত রূপ আমায় দেখিও...
কালো মেয়ে, আমি তোমার হইনি, তোমার নই, তবু তোমার!