তোর জন্য সকাল-দুঁপুর রোদ
তোর জন্য সারা বিকেল হাসি;
অহর্নিশি হই সদা উন্মুখ,
তোর জন্য কান্না ভালোবাসি।


যে জীবনের পাইনি কোনো ঠিক
তোর জন্য সে জীবনেই থাকা;
হৃদে বাজে ব্যথার মতো গীত,
তাতেই বড়ো সত্তা ধরে রাখা।


তবু আমার সায়র ঘেষা নীলে
নীলা মনি, মুক্তো যেচে যাই;
এ সৈকতের বুকের সুপ্ত ঝিলে,
ভেসে আসে অভিমানের ছাই।


তোর ঘরে চঞ্চলা ফুসফুসে-
একা উড়ে এ ভিখেরির শ্বাস;
তোর ছুরা বিষ-মাখা অঙ্কুশে,
খসে পড়ে হৃদয়িক উচ্ছাস।


তবু এ শব চক্ষু মেলে চেয়ে-
তোর হাতেই দেখে অন্য হাত;
সবিতা, তোর আলতা রাঙা পায়ে
ঠেলে দিলি আমার ঘরে রাত!


তোর আকালে তন্দ্রা-ঘোরে থাকি
মর্ম-কাঠে জ্বলে উঠে চিতা;
তোর বাগে উড়ছে ভ্রমর পাখি,
মোর অরণ্যে নির্বাসিত সীতা।


এই ঘরে চালচুলাহীন প্রেমে
বসে থাকে মলিনতার মাছি;
তোর উঠুনে জোসনা আসে নেমে,
তবু মোরা হই না কাছাকাছি।