একটা পাখি ছিল আমার কবিতার বাহন ।
পাখিটি ছিল সোনার।
ওই দূর দেশ থেকে নিয়ে এসেছিলাম।
আমি তার প্রেমে পড়ে গিয়েছি।
ভেবেছিলাম ওকে নির্ভর করে বাকিটা
জীবন অনায়াসে কাটিয়ে দেব ।
তাকে সোনার খঁচায় আর হিরার পাত্রে খেতে দিতাম ।
ভেবেছিলাম আমার সমস্ত প্রেমের কবিতা তাকে নিয়ে লিখব।
তাই আমি পাখিটার মাথা থেকে শুরু করে সমস্ত শরীরের সৌন্দর্য
লিপিবদ্ধ করেছি আমার মনমহলে।
তাকে সোনার আভুষণ পড়াতাম ,
রাজভোগ খেতে দিতাম , গোলাপ জলে স্নান করাতাম।
কিন্তু তাকে নিয়ে লিখ কবিতাগুলো সে শুনতে চেতনা।
আমি তাকে যে প্রাণ দিয়ে ভালবাসি কিন্তু সে চলে যেতে চাইত ।
সে আমাকে বলত যে আমার শরীর কেন সোনার মত নয় ।
আমার শরীর কেন সোনা নয় ?
দিনের পর দিন সে আমাকে বলত ,"আমি চলে যাব।"
"তুমি আমার মত নও। তোমার রঙ লালচে বাদামি ।"
আমি তখন বিরহ মনে বলতাম, " আমি যে সুর্য।"
"তাই আমি এরকম ।"
"আমি স্থির। তোমার মত দুরন্ত নই।
তবে তুমি ভেবনা ।আমি তোমায় সর্বক্ষণ রক্ষা করব ।"
সে বলত -আমার রক্ষার নেয় যে দরকার ।
কবে তুমি সোনা হবে ? উত্তর টা দাও আমার।
আমি যে পারবনা হতে সোনা । লক্ষী !
আমি সোনা হলে তোমাকে সাজাবে কে?
তোমার রূপ বর্ধন করবে কে?
আমি এমনি তেই অপরূপা। নেই প্রয়োজন তোমার।
সোনা হয়ে দেখাও । নচেত হয়ে যাবে আমায় যেতে দাও ।
বাহিরে যে পশুদের রক্ত চক্ষু বিরাজমান।
কেমনে যেতে দেই তোমায় । সখী!
তুমি কি সত্যি যেতে চাও আমার হ্রদয় মন্দির থেকে ?
হ্যাঁ ! তুমি সোনা না হলে ।
আমি সোনা হলে তুমি কি সুখি হবে সৌদামিনী?
হ্যাঁ ! আমি ত সেটাই চাই।
কিন্তু আমি সোনা হলে যে তোমাকে আর সাজাতে পারব না।
তখন আমাকে সাজাতে আর একটি নক্ষত্রের আগমন ঘটবে।
সে তখন আমাকে তার কাছে টেনে নেবে । তুমি যে হয়ে যাবে পর।
তোমায় ছুঁতে পারবনা আমি আর।
তুমিও তখন ছুঁটবে অন্য নক্ষত্রের আশায়।
জ্ঞান যে আমার সীমিত । তুমি সোনা হবে কিনা বল?
না! আমি তোমায় ভালবাসি তপ্তকাঞ্চনী ।
ভেঙ্গে ফেল দরজা ।চলে যাব আমি।
যাও সোনার পাখি ।
কিন্তু আমার হ্রদয়ের দরজা
আজীবন খোলা থাকবে,
একথা বলে রাখি।
তুমি যে আমার মন মন্দিরের সোনার পাখি ।
সেই যে উড়ে গেল সোনার পাখি ।
আজও তার দেখা মেলেনি।
কিন্তু আমি তার পথ চেয়ে এখনো বসে আছি।