বিষণ্ণতার চার দেয়ালে কঠোর বন্দিত্ব
স্বীকার করেও অস্বীকার করতে মন চায়
প্রাণ পুড়িয়ে উঠে আসে কঠোর নিটোল গরল
কিন্তু মহাদেবের অনুপস্থিতিতে
সেই নীলাভ গরল পোড়ায় আমাকেই
নিজেকে ভাবি সর্পিণী এক
হিলহিলে শরীরে উন্মত্ত নেশা , বিষের
দংশনের যন্ত্রণা , কড়াপাকের সুধা
বিষ উগরে নিজেই আত্মসাৎ করি
আমি যেন নীলকণ্ঠই
গরলের নীল ধোঁয়ার অতলে
হারিয়ে গেছে স্মৃতি , মানবিকতা
নিটোল দেবদারুকে জড়িয়ে থাকি বন্ধনে
তার ক্ষমতা নেই সরে যাওয়ার
তাকে থাকতে হয় নিশ্চল
সহ্য করতে হয় বিষের দাবদাহ
কিন্তু সর্পিণী হয়ে দংশন নয়
পাখি হয়ে ছায়া মেলতে চেয়ে ছিলাম
শীতল স্পর্শে দিতে চেয়েছিলাম স্নিগ্ধতা
কিন্তু কার ভুলে?
লখিন্দরের লোহার বাসরে
বেহুলার ঘুমিয়ে পরার ভুলে
সেই ঐতিহাসিক ভুলে
আজ আমি দেবদারুর সর্পিণী
মাথার উপর ছত্রছায়া হয়ে থাকা পাখি নই।