কাগজের নৌকো আমার
ভেসে ভেসে যায় জলে,
মেঘেরাও উঁকি দিয়ে যায়
সংগোপনে,
উদাসী স্বপনে
চেয়ে চেয়ে দেখি উদ্দাম শৈশব।
কত গুলি পাহাড় ডিঙোলে
ঐ রঙিন সকাল
কুয়াশায় লীন হয়ে যায়?
শীতের ভোরে
আগুন পোহানোর সুখ,
চৈতি বিকেলের
খোলা মাঠে, হাওয়ায়
গাছে গাছে
ঘাসে ঘাসে
মাখামাখি লুটোপুটি কত,
সেতো ভুলতে পারি নে আজো।
বুকের নীচে কলসি চেপে
অপটু সাঁতারে শাপলা তোলা,
ঝড়ো রাতের আঁধার ভোরে
আম কুড়োবার সুখ,
আজো সাথে সাথে ছায়া হয়ে চলে।
সংসারের ঘানি টেনে
কতটা পেরোলে
লাগাম হীন ঘোড়ায় ছোটা সকাল
পুরোপুরি ভুলে যাওয়া যায়!
সে কী ভোলা যায়?
না কী কেউ ভুলেছে কখনো?
শৈশব জেগে থাকে
মুক্ত হয়ে চোখের তারায়।
কত ঝড়,কত সুনামীর প্রলয় নাচন
এলো গেলো,
কিন্তু আজো আমার
কাগজের নৌকো অমলিন ভাসে।