ঘন বিষ ছড়িয়ে
হাসছে দেখো শয়তান,
বিচরণের পথে কিংবা রাজপথে
ফাঁদ আছে পাতা,
হাওয়ায় মিশিয়ে বারুদ
ঘাতক বাজায় বীণা
খুলে রেখে মরণের দ্বার।
ছিন্ন কচি শির নিয়ে ফুটবল খেলে
যিশু-নবি-কৃষ্ণের স্বয়ং সেবক,
ভীষণ অসুখ এখন গভীর আরো,
নিজেরা নিরাপদ ভেবে যারা
ঘুমায় এখন,এখনও চেয়ে চেয়ে
দেখে আর সিগারেট ফোঁকে
যে সকল সুশীতল জীব
"তাহারাই পালিতেছে সহিতেছে
নরখাদকেরে পরম যতনে"।
প্রতি রোমকূঁপে জ্বালা ধরে
মানবের হেন অপমানে,
হা ভগবান!
হা ঈশ্বর!
হা খোদা!
তোমার নামে রক্তের হোলি খেলা এতো!
তবু তুমি নিরাকার নার্বিকার অবান্তর।
নাস্তিকের প্রার্থনা শোনো তবে,
"মানুষের মগজ হতে চিরতরে
মুছে যাও তুমি,
মানুষের হৃদয় অনলে জ্বলে পুড়ে
খাঁক হয়ে যাক তোমার অন্তিম বিলাস"।
নিস্পাপ মানুষের প্রাণ তবে
ধর্ম ব্যবসায়ীর চপারে হবে না তো ক্ষয়।
পৃথিবীর ভীষণ অসুখ
এখন গভীর আরো,
ঈশ্বরের নিরাকার-নির্বিকার-অবান্তর
দেহ চিতায় জ্বালিয়ে ছাই করে
ভাসিয়ে এসেছি বহুকাল আগে
কলুষিত স্থবির গঙ্গায়।
হায় ঐশ্বরিক ধর্ম!
হিংসা তোমার শিরা উপশিরায়
ধমনিতে মগজে মজ্জায়।