নিমেষ কালের ব্যাপ্তিতে দেখা হয়েছিলো আকাশের
সাথে, সেখানে ছিলো না কোন গোধূলি আভা  
ছিলো কেবল একরাশ নীল মেঘেদের আনাগোনা;


তাদের চুমছিল কিছু দৈত্যাকার অট্টালিকা
সুযোগ সন্ধানী এক মুঠো সোনালী রোদ্দুর উঁকি দিচ্ছিল
ওড়নার তালে দুলছিল সম্মোহনীয় সমীরণ আর ধূলিকণা।


যদিও অপরিচিত কিছু কথার গুঞ্জন ছিলো চারিদিক
কোলাহলে মিলে মিশে বেঁচে ছিলো কিছু অচেনা আবেগ
বিকৃত মস্তিষ্কের ধোঁয়াশা ভাবনা ছিলো পরিভ্রমণরত, বিক্ষিপ্ত;


নক্ষত্র পতনের প্রথম প্রহরে অনবরত উঁকি দিচ্ছিলাম
চৈতন্যে শুদ্ধতা আর বিভক্ত অনুভব ছিলো অনুসারী
অনুসন্ধিৎসু মনে উর্ধ্বমুখি চক্ষুযূগল ছিলো আপ্লুত।


শঙ্কিত ভাবনায় দ্বিধাবিভক্ত ছিলো মস্তিষ্ক,
কম্পিত ছিলো হৃদয়, এক অজানা শিহরণে শিহরিত
শরীর, আনমনা স্পৃহায় বাঁধা ছিলো কন্ঠস্বর;


কাগজের ঘুুড়িতে ভাসছিলো মেঘে কাহারবা গান
ছায়াতরু আর নরম বিকেল, অজানা ছিলো পরিচয়
যেমন, মিলনে শঙ্কা পরস্পর, কবিতা এবং স্বর লহরীর।


এমন আকাঙ্ক্ষার অভিপ্রায়ে নতুন হে
বিপথে গিয়েছিলে কখনো, নাকি
পথভুলে হয়েছিলে নিঃসঙ্গ ভ্রমরূপ শায়েরী?


আমার রচিত রাস্তা ধরে হেঁটে চলো অনন্তে
আমার প্রসারিত আঙুল পরশে
কাহারবা মেঘ সমেত পরিচয়, সেতো কেবল তোমারি।