প্রয়োজন একটা সুর,
একদমই নির্বোধ, নিরেট সাদা রঙা সুর।
বসন্ত জঙ্গলে গাছ দেবতাদের শুকনো পাতা,
এবং নব পল্লবের ফাঁকে বসে একমনে
সুর তুলে যাওয়া সেই কোকিল আমার আকাঙ্ক্ষা।
শিখে যাবো সেই সুর,
এই ভেবে বেশ, অনবরত হাওয়া ধাক্কা দিচ্ছি।
অসামঞ্জস্য এই পৃথিবীর সমূহ জীবন,
এবং যুতসই সভ্যতার ফাঁকে বসে অনিমেষ
হেসে যাওয়া সেই পাগলরা আমার আকাঙ্ক্ষা।


খুঁজে পাইনি সেই কোকিল, এবং
সদা হাস্যকর সেইসব আকাঙ্খিত পাগল।
যেখানে গিয়েছি, সেখানেই দেখেছি
কেউ কাঁদছে চুপিসারে, আর চুপসানো এক কাপুরুষের দল।


তবে আমি কে! পুরুষ কেউ?
কি ছিলাম! নিখাদ কেউ?
নাকি অস্থি, পেশি, মাংস এবং ত্বকের উপরে
সৌন্দর্যের প্রলেপ লাগানো এক লঘু ঢেউ?
মনে আছে, কিশোরীর স্নানঘরের ঝর্ণা ছিলাম,
একসময় সুহাসিনীর সাজ ঘরের আয়নাও ছিলাম।
মোদ্দাকথা হলো, আমিও সেই রাক্ষসদের ছেলে,
মানুষ ছদ্মবেশী মেকি এক অবয়ব, সর্বোপরি মিথ্যা কেউ।


আর যোগ্যতা?
নিজের মুখে জ্যোৎস্নারাত অনুবাদ করতে পারি, আর
পারি অযথা হাসতে এবং পৃথিবী জুড়ে চুষে বেড়াই ব্যথা,
যেন পেশাগত কোন বেদে।
অবশেষে,
সেই ব্যর্থ আলোটুকু আমি চাইনে, যা অর্কিডের গা ঘেঁষে
নুইয়ে পড়ে। তুমি, তোমরা কেঁদো না আর, আমি ভিজে যাই।
অথবা কাঁদো, ভিজিয়ে দাও পথ, পুস্তক এবং মিটিয়ে দাও খিদে।