ইচ্ছেরা সব একই থাকে,শুধু বয়ে চলে চোরাস্রোতে
তারা নতুন স্বপ্ন দেখায়,আমায় জাগিয়ে রাখে মধ্যরাতে;
ইচ্ছেরা সেই পাখির মতো,ভোরের আলোয় সুদূরে উড়ে
গায়ের রাখাল ছেলের সাথে সাঁঝের বেলা ঘরেতে ফেরে।


ইচ্ছেরা প্রভাত আলোর মতো, ফোটাতে চায় নতুন দিন
পলাশ রাঙ্গা সূর্য নিয়ে, হৃদমাঝারে রইছে আসীন;
ইচ্ছেরা সেই শরৎ শিশির, যেন মুক্তোদানা ঘাসের শিষে
ডাক দিয়ে যায় অহর্নিশি, আমার কংক্রিট পথের পাশে।


ইচ্ছে কখনো তোমার স্পরশ,পেরিয়ে সাত সাগর নদী
ডিঙ্গি নৌকোয় ভাসছি দুজন,মাটির কুঁড়ে খড়ের গদি ;
ইচ্ছে হয় সব এনে দেবো,  শত পাহাড়ের ভালোবাসা
নুড়ি পাথরের ঠান্ডা জলে,ভিজবে দেহ শরীরী ভাষা।


ইচ্ছেরা হল প্রথম চিঠি, বলে দেওয়া ‘চাই তোমাকে'
চিঠিতে লেখা নাম পাল্টায়,নতুন খামের মোড়কে;
ইচ্ছেরা সেই গল্প কথা, যারা প্রেমের দোসর পূর্ণতা
সোনার ফসল ঊঠলে গোলায়, মাঠ কুয়াশার শুন্যতা।


ইচ্ছেরা ঠিক ছোট্ট পুকুর,ঢেকেছে পাতায় পদ্ম ফুলে
কলার ভেলা পানসি ভাসায়, অজানা নদীর হাঠুজলে;
ইচ্ছেরা রাত সমুদ্র ঢেউ, মিলিয়ে যায় এক স্তব্ধতায়
সিক্ত বালির আলিঙ্গনে, জোৎস্ন্যা আলো আঁচলে জড়ায়।