তুমি ঝর্ণা হইও পাহাড় মাঝে আমি হবো জল ধারা
ঝর ঝর ঝর ঝড়বো আমি, বলবে লোকে পাগল পারা!


মুক্ত বিহঙ্গ ছাড়ি উড়িব ওই আকাশেতে
দিগন্ত পিছনে ফেলি পহূছিবো ধান ক্ষেতে।
সবুজ ধানের সারি মাথা নামাইবে ঠিক যেন রাজা আমি!
সহস্র রামধনু রঙ খেলিবে পুবের আকাশে তবুও রহিবোনা থামি।
চলিব পাহাড় পানে যেথা তুমি থাকো
যেথা দিবসে চন্দ্রেরে আপন করিয়া রাখো!
যেথা থাকে বনলতা সেন,আপন জীবনানন্দের অপেক্ষায়!
সব কিছু ছাড়ি তাই বেরিয়েছি, না জেনেও পথের নিশান, যদি যাওয়া যায়!
যদি পাওয়া যায় একমুঠো ধান, চাষার খামার হতে!
লাগাইতাম মহৌষধী 'শুধু পাথর দেখা' এই চোখের ক্ষতে!


তোমারে দেখিবার লাগি করিয়েছি এই নিশীরে স্বীয়!
যদি দেখা হয় বুকে টেনে নেভাইও এ আগুন প্রিয়!
গুম হয়ে যাওয়া স্বপ্নেরা দেখি পথের দুধারে জমে
যেমন করে থার্মোমিটারে প্রেমিকের জ্বর বাড়ে আর কমে!
যেমন করিয়া দূর মরু হতে প্রহেলিকা ভেসে আসে
ফুলের বাগান ছাই হতে দেখি তবু মেনে নিয় শুধু হেসে।
কথার ওপরে কথা বাড়ে ফুরায় সুখের স্মৃতি
কিছু পরাজয় মেনে নিই যদি নেই তাতে কোনো ক্ষতি।
যে পথ হতে কেউ যায়নি কভু, তার ধারে মোর বাড়ি!
কবি সুকান্তের ক্ষুধার রাজ্যে,আমি যেন অনিদ্র প্রহরী।


ওই দূর পাহাড় ছাড়িয়া গঙ্গাধরের বক্ষ হতে
আসিয়াছে জাহ্নবী সুবিশাল সুমুদ্রে মিশিতে,
ভুলিতে বিরহ ব্যথা আজ গিরিরাজ করে চিৎকার
কেমনে পারিলে ভাগীরথী?ভুলিলে কি সব? পাইয়া সুমুদ্রের অমূল্য সম্ভার!
তবু পথ চলি! জানি, পথেতেই পাওয়া যাবে মুক্তির স্বাদ,
মন নদীর প্লাবন ঠেকাতে বাঁধিয়াছি এ মোহের বাঁধ!
এক বুক আশা নিয়ে মাঝপথে ধরেছি এ জয়গান
তোমাতে করিব শেষ জীবনের এই শেষ অভিযান।
তুমি আমি এক হয়ে , পথ শেষে হবো আমরা,
লোকে বলিবে ফের হাসি,ঠিক যেন পাগলপারা।।