গম্ভীর সুরে আযান ভাসছে নিথরে-
দখিনা আকাশ কালো হয়ে গাঢ় অন্ধকার ঘোলাটে তখন।
ঢেউ খেলা শীতল বাতাসে নুড়ি জল আর ধূলি উড়ছে উচ্ছ্বাসে!
বাতাসের রিমরিম শব্দ কানে আসছে।
আরো কিছু শিউলি ঝরে পড়লো খানিক আগে।
নারকোল পাতাগুলো দাপাচ্ছে সমানে।
ভালোবাসতে কাছে এলো মাটির...
জল ভরা বৃষ্টি।
ভালোবাসা কথা বলছে মিষ্টি দুষ্ট লাজে।
প্রথম বেলার সেই গান আজো মনে পরে।
তারপর চোখ ভুলেও মনের গহীন থেকে যে ইচ্ছে-
তা যে সফল হয়েছিল-ছায়া হয়েও যখন কাছে ভাসল।
এরপর দানে-বামে কোথাও চোখ না ফেলে-
তোমাদের দ্রুত চলনে মুগ্ধ পথের বাঁকগুলো।
হাসতে গিয়ে ধুলি উড়িয়েছিলে অনেক-
খুব প্রিয় ছিল গ্রীষ্মের সেই বিকেলগুলো।
বর্ষার চোখে আর জল চায়নি কেউ।
তুমি... তোমরা ... বা আমিও না।
তারপরও চোখে জল আসে কি ভেবে জানে কি সবাই?
ওরাও কাঁদে... তোমরাও কাঁদ...
তুমি আর কেঁদোনা।
বর্ষার চোখে আমাকে পেতে দাও।
সকল কান্না আমার ঝরে যাক-
তাও শেষ নয়...
পৃথিবী... প্রকৃতি আমার ইশারায় নয়।
তাই...
চাই অবিরত চোখে শ্রাবণ ধারায়...
বৃষ্টি ফুলের জল।
তোমার বিরুধে সর্ব সজাগ চোখ জাগে-
সেই তো অবিচল-
প্রাণও চঞ্চল।


(উৎসর্গ- গণতন্ত্রের মূল ধারক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কে)