পেখম নাচিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে ললাট কাঁপে মৃদু ভূষণে।
ঘাম ঝরঝর লোনা মেঘের কপোল।  
কাঁপে থরথর চিম্বুক চিবুক এক ফোঁটা বিন্দুও বিস্বাদ।
তুমি বেসে ভালো ছুঁয়ে দেখেছিলে তর্জনীর আগ টোকাতে।
ভালোবাসা ছুঁয়েছিল কোন এক তির্যক সায়াহ্নে।
আজি কারনে অকারনে মনে দাগ কাটে না?
কেন কাটে?
যা ভেবেছিলে তা কি পেয়েছ?
সেই রাতের আধ ভাঙ্গা মেঘ চেয়েছিল তোমায় দেখে নিতে।
টোল পড়া লাজুক গালে দেখেছিলাম রংধনু; সেই তো সাজে।
এভাবে কেন ছিলে লাজে চোখে ভেজা আকাশে?  
নির্মল নিত্য আনিত বেসে?
কেন এতদূর এতকিছু পূর্ণ মুখের মায়ায় ছুঁয়া হাতের নিপাশে?
জানা ছিলোনা একি আকাশে কতো রোদ্দুর-
কতো মেঘে কতো রচে তুমি সমুদ্দুর!
তুমি পাশে; তুমি মিশে; তোমাতেই বিহ্বল।  
রঙচটা ওরা- আর তুমিই অবিচ্ছিন্ন মাটিতে মূল।
শতাব্দী সন্ধিক্ষণে আজ এই বেলা অবেলায় কতো সূর্যস্নান।
ভাবি এত কান্না কিছু নয়- উদ্দাম উদ্বেল মুহূর্ত যে অক্ষয়।
অবনত পেলবে ছুঁয়ে দেখে চোখ না ফেলো হৃদয়ের দিয়া।
বাংলা আমার, তুমি সর্ব-বিজয়া।    


(উৎসর্গ- জনাব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু মহোদয় কে; তাঁর 'গেরিলা' ছবি দেখে লেখা)