বিশ্ববিধাতা
              পূরব ব্যানার্জী


অতন্দ্র প্রহরী হয়ে রয়েছো দাঁড়ায়ে,
হে মহাশক্তি তুমি, সদাই শিয়রে - সর্বস্থান ব্যাপী!
বিশ্বাস অবিশ্বাস এর দ্বন্দ্বে করি নিমজ্জন
জগতবাসীরে, মহাশুন্য মাঝে।
প্রকৃতির রুপে এনে বৈচিত্র, তুমি-
অলৌকিক নামে করিছো খেলা,
কুহেলি সাজায়ে, বিশ্ববাসী জনে কূসংস্কারের
ফাঁদে রেখে, প্রতিদিন করিছো নব নব
আবিস্কার মানুষেরই মাঝে, তুমি অন্তর্যামি।।
অসহায় জনে নিজ স্পর্ষের অনুভূতি
জাগায়েছো প্রতিক্ষনে, বিপদে আপদে-
পূনঃ নিজ গুনে ভূলায়েছো সেই চরম মূহুর্ত,
কাল ও ভাগ্যের দোহায় দিয়ে অন্তর্মনে।
এ কি ভীষণ লীলা তব!  সবার অলক্ষ্যে তুমি,
খেলিছো প্রতিদিন, প্রতিজনে।।
মহামন্ত্র তব অজ্ঞাত আজি সর্ব পন্ডিত ও মৌলবি কাছে,
তুমি লীলাময়, সর্বভূতে বিরাজিছ জীব ও জড় নামে।।
নিভৃতে মহাশূন্য হতে দিতেছো অভয় কভূ,
হয়ে নিরাকার ও সাকারের তুচ্ছ তর্ক লয়ে -
হে মহাদূত্যি সম, সর্বশক্তিমান।
তরংজ্ঞ বিস্তারিত তব অনু হতে মহাকাল রুপে,
কখনো বিশ্বাস, কখনো বা অবিশ্বাস রুপে।।
অস্তিত্ব তব নাহি বোধগম্য কারো, অবনির মাঝে!
তুমি চিরন্তন, যুগে যুগে একই রুপে রয়েছো,
হয়ে বিদ্যমান মূহুর্তের মাঝে, শুন্য হয়ে সংখ্যারো ভান্ডারে।
জন্ম-মৃত্যুর তুচ্ছ এক উপমা সাজায়ে, মাতায়ে রেখেছো তুমি,
হে জগবন্ধু, জগতবাসীরে রেখেছো বঞ্চিত করে ওহে বিশ্বস্বামী।।
তুমি অন্তরে থেকে কেন রয়েছো অস্পষ্ঠ হয়ে মানব মাঝারে।
কিবা তব উদ্দেশ্য এই ভীষণ খেলায়,
সর্ব ধর্ম যারে লয়ে,করিছে বচসা - নিমিত্ত,যুগান্তরে  যুগ স্রষ্ঠার নামে।।