জন্মদিন
পূরব ব্যানার্জী
রাত্রি শেষে,প্রভাতের রাঙা রবি -
বসন্তের-ই গান শুনিয়ে আজ।
জন্মদিনের শুভকামনা নিয়ে,
শুনিয়ে গেল ফেলে আসা কাজ।।
পিতা-মাতা, আপন স্বজন যত-
বন্ধু,সখা, পরিচিত সব জন।
শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা দিয়ে,
বুঝিয়ে গেল পুঞ্জিভূত ঋন।।
জন্মক্ষনের আগের কয়েক দিন -
স্বপ্ন মায়ের কতই ছিল আঁকা।
শৈশবের ওই চঞ্চলতা যত -
ভাবী কালের আশায় ছিল ঢাকা।।
বক্ষে পিতার ঘুমিয়ে অঘোর ঘোরে,
বুকভরা ওই স্নেহ রাখত ধরে।
ভাবতো হেঁসে অাপন মনে মনে -
ধন্য ছিলাম কল্পনা তার ঘিরে।।
বিদ্যালয়ে গুরুর শাষন চোখে,
নতমস্তকে বিদ্যাভাষের ছলে -
স্বপ্ন কত, ভরশা-ভরা বুকে ;
কতই আশা ছিল শিষ্য বলে।।
রক্ত সতেজ, উর্দ্ধ করি শির,
যুবাকালের দোরগোড়াতে গিয়ে -
ভারত মায়ের দিব্বি খেয়ে সেদিন!
এগিয়ে ছিলাম শপথ কত নিয়ে।।
কালের সাথে তাল মিলিয়ে হায়!
দিন কেটে যায় জন্মদিনের নামে -
অপূর্ন অাজ,ব্যর্থ সবই অাশা,
স্বপ্ন গুলো রয়েই গেছে জমে।।
সময় যে নাই, ব্যস্ত যুগে আজ ;
ব্যস্ত শুধু বেঁচে থাকার লাগি।
জন্ম যদি এই কারনেই হয়,
মানব জন্মে লাভ কি তবে আজি।।
নাই ক্ষমা, সে যতই বোঝায় নিজে,
লক্ষ স্বপ্ন দাঁড়িয়ে অাছে দ্বারে।
ফুঁসছে অাজ বিশ্বমাতা রোষে!
দীর্ঘদিনের লালন পালন ঘিরে।।
হিংসা ঘৃনা ছড়িয়ে অাছে বিষ,
বিশ্বমায়ের আঁচল জুড়ে অাজ!
কমছে যে দিন,শোধিতে হবে ঋন -
মরনকালে না হয় যেন লাজ।।
শয্যা ছেড়ে, সজল চোখে তাই,
লক্ষ স্বপ্নের ঋনের বোঝা নিয়ে -
ভাবছি বসে কিসের নেশায় হায়,
কাটিয়ে দিলাম ব্যর্থ ছেলে হয়ে।।