সজনী লো সজনী
           পূরব ব্যানার্জী


সজনী রাত পোহালো, চাহিয়া দেখো, পূব আকাশের পানে-
হাঁসিয়া সূর্যি মামা,দিচ্ছে উঁকি, তোমার বাতায়নে।।
গাহিছে কোকিল অাজি তোমার তরে,গান শোনাবার ছলে -
এসেছে বসন্ত ওই, নাচছে যে তাই দোয়েল ডালে ডালে।।
দেখো গো ফুলের বাহার,ছড়িয়ে সুবাস,রুপের গরম ভূলে -
প্রেমে যে পাগল পারা, ছন্দে নাচে, দেখো প্রকৃতিরই কোলে।।
সমিরন বইছে অাজি, শীত ভূলিয়ে, নতুন সে এক বেশে।
রিনিঝিনি সুর তুলেছে গগনেতে, স্বপ্ন রানির দেশে।।
সবই যে তোমার তরে, তবুও তুমি উদাশ কেন প্রিয়ে।
ভুলে আজ দৈন্য জ্বালা, ও সজনী, ওঠো না গান গেয়ে।।
ভ্রমরও আজকে যেন, কর্ম ভূলে, গাইছে ফুলের সাথে।
পরাগে নাই যে রুচি, আপন ভোলা, গানের সূরে মাতে।।
রঙে ওই মাতলো ভুবন, রঙবেরঙের নকশা গগন জুড়ে।
সখি সব যাই যে বৃথা, এমন দিনে, রইলে তুমি,মনটা উদাশ করে।।
চলো না অাজকে মোরা,যাই হারিয়ে, ওই সুদূরে, গগন যেথায় মেশে।
চলো না বন্ধু,আজ  সব ভুলিয়ে, যাই কল্পতরুর দেশে।।
অযথা লাভ কি ভেবে, দার্শনিকে, সব মুছিবে কালে।
সখি অাজ চল না মোরা, খুদের বেশে, খেলবো হৃদয় খুলে।।
অাজ নাই গন্ডি কোনো, নাই সীমানা, নাই যে কোনো  বাঁধন।  
অাজ অার মানবো না রে নিয়ম কানুন, শুনবো যা চাই মন।।
প্রজাপতি পাখনা মেলে, বলছে যে হায়, ভাসঁতে হাওয়ার স্রোতে।
ও প্রিয়া, দোহায় তোমার, মান ভূলে আজ, হাতটি রেখো হাতে।।